জেএনএফ, চুবকা : অবৈধভাবে বালি মজুত করার অভিযোগ পেয়ে ঝাড়গ্রাম ব্লকের শুকজোড়া এলাকায় মানিকপাড়া বিট হাউসের পুলিশকে সাথে নিয়ে হানা দিল ভূমি দপ্তরের আধিকারিকরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই এলাকায় গত দুদিন ধরে চারটি পোককল্যান্ডের সাহায্যে কংসাবতী নদী থেকে বালি তুলে মজুত করছিলেন ওই এলাকারই কিছু বালি ব্যবসায়ী। বর্তমানে ঝাড়গ্রাম ব্লকে কোন বৈধ বালি খাদান নেই, এবং নতুন করেও কোন বালি খাদানের অনুমোদন দেওয়া হয়নি, কিন্তু হঠাৎ করেই ওই এলাকায় নদী থেকে বালি তুলে মজুত করার কাজ শুরু হতেই এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়, এবং অবৈধভাবে বালি তোলা বলে প্রশাসনিক মহলে অভিযোগ জানায়। ঝাড়গ্রাম ব্লকের বেশ কিছু খাদান খালি চোখে ঝারগ্রাম ব্লকের মনে হলেও ভৌগোলিক অবস্থানে কিন্তু পশ্চিম মেদিনীপুরের অন্তর্গত। যেখানে এই বালি মজুত করা হচ্ছে সেটিও ঠিক একই ভৌগোলিক অবস্থানে রয়েছে যার কিছুটা অংশ ঝাড়গ্রাম ব্লক এবং কিছুটা অংশ পশ্চিম মেদিনীপুরের গুড়গুড়ি পাল থানার অন্তর্গত। ঠিক একইভাবে এই দুই জেলার মধ্যস্ত কয়েকটি বালি খাদান নিলাম হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত সেই খাদান গুলি তাদের মালিকের হাতে হস্তান্তর করা হয়নি। শুকজোড়া এলাকায় সোমবার থেকে বালি মজুত শুরু হতেই এলাকার অন্যান্য খাদানের লেসি ম্যানদের মনেও সন্দেহের দানা বাঁধে। তারাও বিভিন্ন মহলে গিয়ে এই বিষয়টির খোঁজ খবর নেয় এবং তারা জানতে পারে যে এইরকম কোন মজুত করার অনুমতি কাউকেই দেওয়া হয়নি তারপরেই তারা প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে অভিযোগ জানায়। তাপস সামন্ত নামে এক খাদানের লেসিম্যান বলেন ” ২০১৭ সাল থেকে আমার একটি খাদানের ডাক নেওয়া আছে। কিন্তু আমার কাছে এখনো হস্তান্তর হয়নি। হঠাৎ আমি সোমবার দিন জানতে পারি আমাদের এলাকায় আমাদের সাথে নিলাম হয় একটি খাদান বালি মজুত করার জন্য অনুমতি পত্র পেয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে আমরা তড়িঘড়ি মেদনীপুর ভূমি দপ্তরে গিয়ে খোঁজ নিই, সেখান থেকে আমাদের বলা হয়েছে এই রকম বিষয় তাদের কোন জানা নেই। আমরা এতদিন ধরে টাকা দিয়ে খাদান নিলাম হওয়ার সত্ত্বেও আমাদের কোন অনুমতি পত্র দেওয়া হলো না অথচ আমাদেরই কাছাকাছি এলাকায় একটি খাদানের স্টকের জন অনুমতি পত্র দেওয়া হলো কি করে সেই বিষয় নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়, তারপরে আমরা প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে অভিযোগ জানিয়েছি “। এভাবেই এলাকাবাসী থেকে শুরু করে খাদানের লেসিম্যান প্রত্যেকেই অবৈধভাবে বালি মজুত করার অভিযোগ তোলার পর সেই অভিযোগ পেয়ে বুধবার বিকেলে মানিকপাড়া বিট হাউস এর ওসি এবং ঝাড়গ্রাম ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকরা যৌথভাবে ওই এলাকাটি পরিদর্শনে যান। পরিদর্শন করার পর ঝাড়গ্রাম ব্লক ভূমি এবং ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিক কল্লোল বিশ্বাস জানান ” অবৈধভাবে বালি মজুতের একটা অভিযোগ আমরা পেয়েছিলাম, অভিযোগ পেয়ে আমরা এখানে এসে যেটা দেখলাম, যেখানে বালি মজুত করা হয়েছে সেটা ঝাড়গ্রাম বর্ডার থেকে ১০০ মিটার দূরে, সেটা পশ্চিম মেদিনীপুর এর অন্তর্গত। বালি মজুত যেটা চলছিল সেটা বৈধ কি অবৈধ সেটা পশ্চিম মেদিনীপুর বলতে পারবে। ঝাড়গ্রাম এর রাস্তা যেন বালি পরিবহন পরিবারের জন্য ব্যবহার না করা হয় সেটা পুলিশ প্রশাসন দেখবে “।