অরূপ কুমার মাজী, জেএনএফ, ঝাড়গ্রাম : হাতে মাত্র আর উনিশ দিন, সপ্তম দফায় ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ, তার আগে এখনো পর্যন্ত গোপীবল্লভপুর ২ ব্লকের বিভিন্ন এরিয়ায় শাসকদলের দলীয় পতাকা উড়তে লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। শাসকদলের প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারের জন্য ব্যানার ফেস্টুন কোনটারই দেখা মিলছে না। এই গোপীবল্লভপুর ২ ব্লকের কুলিয়ানা গ্রামে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বাড়ি। শিয়রে ভোট তার আগে প্রত্যেকটি দলেই তার নিজেদের দলীয় পতাকা ফেস্টুন ব্যানার প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার শুরু করে দিয়েছে কিন্তু গোপী দুই নম্বর ব্লকে তথা বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গড়ে শাসকদলের দলীয় পতাকা দেখতে না পাওয়ায় প্রশ্নচিহ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক মহল। বর্তমানে শাসকদলের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি । যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে দলের অন্যান্য নেতৃত্বরা লোকসভা ভোটের প্রচারে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন সেখানে ঝাড়্গ্রাম জেলা নেতৃত্বে এ হেন আচরণে দলের সাংগঠনিক দুর্বলতার চিত্র ফুটে উঠছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
গোপীবল্লভপুর দু নম্বর ব্লকের ফেকো, তপসিয়াতে বিজেপির দলীয় পতাকা উড়তে দেখা গেলেও এখনো পর্যন্ত এই সমস্ত এলাকাতে শাসক দলের দলীয় পতাকা অমিল। রানটুয়া এলাকাতে বিজেপির খুব একটা পতাকা না দেখা গেলেও কিছুদিন আগে হয়ে যাওয়ার রামনবমীর গেরুয়া ঝান্ডাতে মোড়া রয়েছে এই এলাকার কিন্তু সেখানেও শাসকদলের কোন পতাকা নেই বললেই চলে। এই বিষয় নিয়ে বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি দেবাশীষ কুন্ডু বলেন ” তৃণমূলের কোন সংগঠন নেই, এদের কর্মী সংখ্যাও নেই।দলটা প্রশাসনের উপর ভিত্তি করে চলে। ওদের কার্যকর্তা কর্মী নেই এবং সংগঠন নেই তাই আজ ওরা প্রচার করতে পারছে না এবং দলীয় পতাকা বাঁধতে পারছেনা”। অপরদিকে তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি প্রসূন ষড়ঙ্গী বলেন ” আমাদের কাছে এরকম কোন খবর নেই, আমরা দলগতভাবে সবাইকে পতাকা বাধার নির্দেশ দিয়ে দিয়েছি। সাত দিনের মধ্যে আমাদের দলের কর্মীরা সব জায়গায় পতাকা বেধে দেবে “।