অরূপ কুমার মাজী, জেএনএফ, ঝাড়গ্রাম : গত ২৬ শে এপ্রিল দলের প্রার্থীর সমর্থনে ঝাড়গ্রামের একটি কর্মীসভাতে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং সেই কর্মীসভা থেকেই প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন ঘোষণা করেন এবং সেদিন তিনি উপস্থিত থাকবেন বলেও জানিয়েছিলেন। সেই মতো মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডুর মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন তিনি উপস্থিত হয়েছিলেন । এদিন ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপি কার্যালয় থেকে জেলা শাসকের দপ্তর পর্যন্ত পদযাত্রার মধ্য দিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে যান বিজেপি প্রার্থী। প্রার্থীকে পাশে রেখে এই পদযাত্রাতে বিরোধী দলনেতাও পা মিলিয়েছিলেন। তিনি এই পদযাত্রা থেকে বলেন ” যত পুলিশি অত্যাচার হবে ,মিথ্যা মামলা হবে, তত জঙ্গলমহলের মানুষ ভোটের দিন সুদে আসলে তুলবে “। তিনি আরো বলেন” লড়াইটা কমপ্লিটলি জনগণের সাথে মমতার পুলিশ প্রশাসনের হচ্ছে”। পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি বলেন ” আমি আসার আগে দেখলাম লোধাসুলী থেকে ঝাড়গ্রাম ঢোকার আগে পর্যন্ত পুলিশ আমাদের পতাকা খুলেছে।তৃণমূলের পতাকা আছে,বিজেপির পতাকা খুলেছে”। জঙ্গলমহলের মানুষ এইসবের বিরুদ্ধে ভালো করে জবাব দেবে বলে তিনি জানিয়েছেন। তিনি সবশেষে বলেন ” জঙ্গলমহলে যৌথবাহিনী, হার্মাদ বাহিনী সাধারণ মানুষদের জব্দ করতে পারেনি সুতরাং যত পুলিশি অত্যাচার হবে,মিথ্যা মামলা হবে তত জঙ্গলমহলের মানুষ ভোটের দিন সুদে-আসলে তুলবে “। তিনি এদিনের মিছিল থেকে বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রকে প্রচারে বাধা দেওয়া, কিছুদিন আগে ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর উপর হামলার ঘটনার প্রসঙ্গে তৃণমূলকে দলিত বিরোধী বলে মন্তব্য করেন। এদিনের পদযাত্রা শেষে বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডু নিজের মনোনয়ন জমা দেন।প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন প্রার্থীর পাশে পদযাত্রায় পা মিলিয়ে পুলিশের ভূমিকায় যে সাধারণ মানুষ সন্তুষ্ট নয় এবং আগামী দিনে এইসব অত্যাচারের বিরুদ্ধে জঙ্গলমহলের মানুষ ভোট বাক্সে তার রায় দান করবে তা তিনি এই দিন বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন।