অরূপ কুমার মাজী,জেএনএফ,ঝাড়গ্রাম: বৃহস্পতিবার গোপীবল্লভপুর বিধানসভার সরডিহা ও চুবকাতে প্রচারে বেরিয়েছিলেন তৃণমূলের প্রার্থী কালিপদ সরেন ,সাথে ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্ময়ী মারান্ডি,গোপীবল্লভপুর বিধানসভার সদ্য দায়িত্ব প্রাপ্ত দুই অবজার্ভার অজিত মাহাত ও চূড়ামণি মাহাত,ঝাড়গ্রাম ব্লক সভাপতি নরেন মাহাত, জেলা পরিষদের সদস্য কমল মাহাত সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। চুবকা অঞ্চলের খালশিউলী বাজারে একটি অতিথিশালায় প্রার্থীর সমর্থনে একটি কর্মী সম্মেলন করে তৃণমূল নেতৃত্ব সেখানে ৯৬ বছর বয়সের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি অনিল মন্ডলকে উপস্থিত থাকতে দেখা গেলেও গোপীবল্লভপুর বিধানসভার বিধায়ক খগেন্দ্র নাথ মাহাতকে দলীয় কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকতে দেখা গেলোনা।গত ৪ ই এপ্রিল তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ঝাড়গ্রাম জেলার নির্বাচনী কমিটির বৈঠকে উপস্থিত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে দলীয় কার্যসূচিতে নিষ্ক্রিয় থাকা গোপীবল্লভপুর বিধানসভার বিধায়ক খগেন্দ্রনাথ মাহাতকে দলের কাজে মন দেওয়া এবং নিজের বিধানসভার এলাকায় সময় দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন কিন্তু তা সত্বেও এখনো পর্যন্ত তেমন ভাবে নিজের বিধানসভার দলীয় কর্মসূচিতে বিধায়ককে অংশগ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছেনা। অপরদিকে গোপীবল্লভপুর বিধানসভার অবজার্ভার হিসেবে অজিত মাহাত ও চূড়ামণি মাহাত দায়িত্ব পেয়ে জোর কদমে প্রার্থীদের সমর্থনে ওই বিধানসভা এলাকায় দুজনেই প্রচারে নেমে পড়েছেন ।অপরদিকে সাঁকরাইল ব্লকে বিজেপি প্রার্থীর উপর হামলার ঘটনার কিছুদিন পরে রগড়া এলাতে সাঁকরাইল বকের ব্লক সভাপতির উপস্থিতিতে তৃণমূলের মিছিলেও বিধায়কের দেখা মেলেনি। দলের সবাইকে এক হয়ে প্রার্থীর হয়ে প্রচারে ঝাঁপাতে অভিষেক নির্দেশ দিলেও বিধায়ক কে সেই নির্দেশ মানতে দেখা যাচ্ছেনা। নির্বাচনী কমিটির মিটিংএ অভিষেক বিধায়কের ডানা ছেঁটে বিধায়কের বিধানসভায় অতিরিক্ত দুজন কে দায়িত্বে দেওয়ায়ই কী বিধায়কের গোঁসার কারণ তাই এখনো দেখা মিলছে নিজের বিধানসভা একলার দলীয় কর্মসূচিতে ,এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিকক মহল। এই বিষয় নিয়ে গোপীবল্লভপুর বিধানসভার সদ্য দায়িত্ব প্রাপ্ত অবজার্ভার অজিত মাহাত বলেন “আজ আমাদের মিটিংয়ে ঝাড়গ্রাম ব্লকের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি অনিল মন্ডল উপস্থিত ছিলেন। ওনার বয়স এই মুহূর্তে ৯০ এর উর্ধে, এই বয়সেও যে উনি এতো গরমে আমাদের সাথে মিটিঙে উপস্থিত হয়েছিলেন আমরা তা দেখে অবাক।উনি দলটা অনেক আগে থেকে করেন উনি আমাদের অনেক বয়োজৈষ্ঠ। উনি দলকে ও মমতা ব্যানার্জিকে কে ভালো বসেন তাই এই বয়সেও উনি এখনো দলের কর্মসূচি তে যোগ দিচ্ছেন “।তৃণমূলের জেলা সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন “বিধায়ক হয়তো কোথাও ব্যস্ত আছেন ,হয়তো পরে মাঠে নামবেন । হাইকমান্ড নির্দেশ দিয়েছেন ঠিকই কিন্তু উনি হয়তো কোনো ব্যক্তিগত কাজে আটকে গেছেন পরে মাঠে নামবেন”। এই বিষয় নিয়ে গোপীবল্লভপুর বিধানসভার বিধায়ক খগেন্দ্রনাথ মাহাতর সাথে যোগাযোগ করে হলে উনি ফোন ধরেননি এবং হোয়াটস্যাপে পাঠানো বার্তারও উত্তর দেননি।