অরূপ কুমার মাজী, জেএনএফ ,ঝাড়গ্রাম : ঝাড়গ্রাম ব্লকের চুবকা অঞ্চলের আমদই এবং মেদিনীপুর সদর ব্লকের কনকাবতীর মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া কংসাবতী নদীর উপর কংক্রিটের সেতু নির্মাণের দাবী দীর্ঘদিনের।শাসকের পরিবর্তন হলেও এলাকার মানুষজনের দীর্ঘদিনের এই সমস্যার সমাধান হয়না।বর্তমানে এই নদীর উপর বাঁশের সেতুই একমাত্র ভরসা তাও আবার বৃষ্টি জল বেশি হলে জলের তোড়ে ভেসে যায় এই সেতু, বিঘ্ন হয় যোগাযোগ ব্যবস্থা।বৃহস্পতিবার চুবকা অঞ্চলে প্রচারে এসে এই এলাকার মানুষজনের দীর্ঘদিনের এই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেন তৃণমূলের প্রার্থী কালীপদ সরেন।ঝাড়গ্রাম ব্লকের চুবকা,সরডিহা,মানিকপাড়া এছাড়াও খড়্গপুর গ্রামীনের কিছু এলাকার মানুষজন এই কংসাবতী নদীর উপরে থাকা বাঁশের সেতু কে নির্ভর করে মেদিনীপুর শহরে পৌঁছে যান। এর জন্য মাত্র ১০থেকে ১২ কিমি পথ অতিক্রম করতে হয় কিন্তু বর্ষাকালে এই বাঁশের সেতু ভেঙে গেলে ৩২ কিমি পথ অতিক্রম করে ঘুরপথে ৬নং জাতীয় সড়ক ধরে খড়্গপুর শহরের চৌরঙ্গী হয়ে মেদিনীপুর শহরে পৌঁছাতে হয়।এই এলাকার মানুষজনকে ব্যবসা বাণিজ্য ,অফিস আদালতের বিভিন্ন কাজে মেদিনীপুর যেতে হয় ,মেদিনীপুর হাসপাতালে পৌঁছাতে গেলেও খুব কম সময়ে এই সেতু দিয়ে পৌঁছানো যায়। এছাড়াও প্রতিনিয়িত এই এলাকা থেকে অসংখ্য ছাত্র ছাত্রী এই সেতু কে নির্ভর করে মেদিনীপুর শহরের স্কুল,কলেজ ,বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যায়। কিন্তু এই সেতু বর্ষা কালে ভেঙে গেলে তাদের সমস্যায় পড়তে হয়। এলাকার স্থানীয় মানুষদের দাবি এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২০০০ জন পারাপার করে থাকে এই সেতু তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই এখানে একটি স্থায়ী কংক্রিটের সেতুর দাবি তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে করে আসছেন। এই এলাকার আর একটি সমস্যা হলো ,মাওবাদী আমলের আগে এখানে বাস যোগাযোগ থাকলেও বর্তমানে কোনো বাস যোগাযোগ নেই,যদিও একটি মাত্র বাস চলে তাও আবার অনিয়মিত।আগে বাস চলাচলের সময় ঝাড়গ্রাম থেকে ভায়া খালশিউলী হয়ে মেদিনীপুর আবার উল্টো দিকে মেদিনীপুর থেকে ভায়া খালশিউলী হয়ে ঝাড়গ্রাম পৌঁছানো যেত। কিন্তু বর্তমানে বাসের অভাবে সাইকেল,মটরসাইকেল প্রাইভেট গাড়িই যোগাযোগের একমাত্র ভরসা। এদিন এই এলাকায় শাসক দলের প্রার্থী প্রচারে এসে এই দুটি সমস্যা সমাধানে আশ্বাস দেন।প্রার্থী বলেন ” আমাকে জিতিয়ে দিল্লি পাঠক আমি অবশ্যই চিন্তা ভাবনা করবো। মমতা বন্দোপাধ্যায় এর আমলে লালগড়ে ব্রিজ হয়েছে ধেরুয়া তে হয়েছে, আমি এখানে মানুষের মুখে এই সমস্যা শুনে বুঝলাম এখানেও ব্রিজের প্রয়োজনীয়তা আছে এই সমস্যা সমাধানে আমি অবশ্যই চিন্তা ভাবনা করবো। বাস যোগাযোগের ব্যাপার টা আমি প্রশাসনের সাথে কথা বলে দেখবো এবং আমাদের যারা নেতৃত্ব আছে তাদের সাথেও কথা বলে সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করবো”।