Breaking
23 Dec 2024, Mon

রাম ভক্তের আশীর্বাদ নিয়ে পৌরসভার ওয়ার্ড গুলিতে প্রচার শুরু করলেন তৃণমূলের পর্যবেক্ষক অজিত মাহাতো!

অরূপ কুমার মাজী, জেএনএফ, ঝাড়গ্রাম : মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম জেলা শহরের একটি হনূমান মন্দিরে পুজো দিয়ে ঝাড়গ্রাম পৌরসভার ওয়ার্ড ভিত্তিক প্রচার শুরু করলেন তৃণমূলের সদ্য দায়িত্ব পাওয়া গোপীবল্লভপুর বিধানসভার পর্যবেক্ষক অজিত মাহাতো। হনূমান মন্দিরে অজিতের এই পুজো দেওয়াকে কটাক্ষ করছে বিরোধীরা। বিরোধীদের দাবি ভোটের ভুত তাড়াতে হিন্দু ভোট কাছে পেতে তৃণমূলের নেতারা আজকাল রাম নাম উচ্চারণ করছে এবং হনূমান জয়ন্তী পালন করছে। লোকসভা ভোটের আগে এই বছর রাজ্য সরকারের তরফ থেকে রামনবমী তে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল এবং রাজ্যের তৃণমূলের নেতারাও ওই দিন বিভিন্ন জায়গায় রাম নবমীর মিছিলে যোগ দেয় এই দৃশ্য অত্যন্ত বিরল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যেখানে অন্যান্য বছর রামনবমীর মিছিল কিংবা হনুমান জয়ন্তী উৎসব পালন করার সময় রাজ্যের শাসকদল এবং পুলিশ প্রশাসনের বাধার মুখে পড়তে হতো বিরোধীদের কিন্তু বর্তমানে লোকসভা ভোটের মুখে এই বছর সেই চিত্র কিছুটা হলেও পাল্টেছে। তৃণমূলের নেতারা রামনবমীর উৎসবেও যোগ দিয়েছিলেন এবং আজ হনুমান জয়ন্তীতেও জেলার তৃণমূল নেতা হনুমান মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচারের কাজে বেরিয়ে ছিলেন। এই বিষয় নিয়ে বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি দেবাশীষ কুন্ডু বলেন ” আগে আমরা যখন জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতাম বা আমরা হনুমান জয়ন্তী পালন করতাম তখন শাসকদলের বাধার সম্মুখীন হতে হতো কিন্তু বর্তমানে দেখছি তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা ভোটের প্রাক্কালে রামনবমীর উৎসব পালন করছে এবং হনুমান জয়ন্তী উৎসব পালন করছে তারা বুঝে গেছে যে তাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে রামের শরণাপন্ন হওয়া ছাড়া তাদের কোন উপায় নেই। আজ অজিত মাহাতো হনুমান মন্দিরে পূজো দিয়ে প্রচার শুরু করেছেন, ওনার দেরিতে হলেও সুবুদ্ধি হয়েছে তাই জন্য ওনাকে আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি। যে ভোট নামক ভূতের ভয়ে হিন্দু ভোট টানার জন্যই উনারা আজকে এই সব কার্যক্রম করে বেড়াচ্ছেন”। অপরদিকে সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক প্রদীপ সরকার বলেন” এটা শাসক দলের ট্রাডিশনে আছে। তৃণমূল এবং বিজেপি আলাদা নয় দুজনেই এক। তৃণমূলের নেতারা এ বছর রামনবমী একটি অন্যভাবে পালন করেছে যেটা অন্য বছর করত না।ওদের সাথে আমাদের নীতি কখনো মিল হবে না “।

Developed by