অরূপ কুমার মাজী,জেএনএফ,ঝাড়গ্রাম : রবিবার ঝাড়গ্রাম জেলা শহরের রবীন্দ্রপার্কে আদিবাসী সমাজের পক্ষ থেকে পালন করা হলো ‘বাহা মা: মড়ে বঙ্গা’ উৎসব ।প্রথা অনুযায়ী এদিন শাল গাছে ঘেরা রবীন্দ্র পার্কের জাহের থানে সমাজের পক্ষ থেকে পূজা অর্চনা করা হয়। সকালবেলায় জেলা শহরের জুবলী মার্কেট থেকে একটি ৱ্যালি রবীন্দ্রপার্কে এসে পৌঁছায় তারপরই শুরু হয় এই উৎসব। ধামসা মাদলের তালে তাল মিলিয়ে লালপাড় শাড়ি পরে শুরু হয় আদিবাসী মহিলাদের নাচ।এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমাজের অসংখ্য মানুষের পাশাপাশি ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রাথী কালিপদ সরেন এবং বিজেপির প্রাথী প্রণত টুডু উভয়ই উপস্থিত ছিলেন।জুবলী মার্কেট থেকে রবীন্দ্রপার্ক পর্যন্ত ৱ্যালিতে তৃণমূল এবং বিজেপি দুই প্রার্থীকে উপস্থিত ছিলেন।এদিন দুই প্রার্থীকে ধামসা মাদল বাজাতে দেখা যায়। প্রথমে তৃণমূলের প্রার্থী বাজানোর পর বিজেপি প্রাথীর মাদল বাজানোর সময় উৎসব প্রাঙ্গনে উপস্থিত হন রাজ্যের বনদপ্তরের রাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদার মা তথা প্রাক্তন বিধায়িকা চুনিবালা হাঁসদা।এরপরই বিজেপি প্রাথী প্রণত টুডুর মাদলের তাল তাল মিলিয়ে মন্ত্র্রীর মাকে নাচতে দেখা যায়। ঘটনাটিকে সৌজন্যতার আখ্যা দিলেও জেলার রাজনৈতিক মহলের একাংশ তা মানতে নারাজ। বিধানসভা ভোটার আগে তৎকালীন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন চুনিবালা হাঁসদার কন্যা বিরবাহা হাঁসদা এবং তৃণমূলের টিকিটে জিতে তিনি বর্তমানে রাজ্যেরশাসক দলের একজন মন্ত্রী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর অতন্ত্য স্নেহভাজন অপরদিকে মন্ত্রীর মা একজন প্রাক্তন বিধায়িকা এবং লড়াকু ঝাড়খন্ডী নেত্রী।চার বছর আগে মেয়ে বিরবাহা তৃণমূলে যোগদান করলেও মা চুনিবালা এখনো পর্যন্ত কোনো দলে যোগদান করেননি এবং বর্তমানে ঝাড়খন্ডী কার্যকলাপ থেকে ও তিনি নিজেকে দূরে রেখেছেন। ‘বাহা মা: মড়ে বঙ্গা’ কথার অর্থ হলো নতুনকে আহ্বায়ান করা ,এই উৎসবেই মন্ত্রীর মা উপস্থিত হয়ে বিজেপি প্রাথীর মাদলের তালে তাল মিলিয়ে নাচের মধ্যে দিয়ে কি আগামী দিনে জেলার রাজনীতিতে তাহলে কি কোনো নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত দিতে চাইলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে জেলার রাজনৈতিক মহল।বিষয়টি নিয়ে বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডু বলেন “এতে রাজনীতির কোনো ব্যাপার নেই, এটা একটা সামাজিক অনুষ্ঠান।যোগ দিতে পেরে ভালো লাগছে। এরকম পরিবেশ ও সংস্কৃতি যেন চিরকাল বজায় থাকে “।