,জেএনএফ,ঝাড়গ্রাম:
বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডুকে মারধর। আর তার জেরে দুই তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করল সাঁকরাইল থানার পুলিশ। অভিযুক্তদের নাম সত্যাবান ঘোড়াই , হেমন্ত পাতর। হেমন্তর বাড়ি রগড়া গ্রামে। সত্যবানের বাড়ি সাঁকরাইলের দক্ষিণ রগড়া গ্রামে। জানা গিয়েছে , এই মামলায় মারধর, খুনের চেষ্টা, ভীতি প্রদর্শন, সহ একাধিক ধারা দেওয়া হয়েছে। এদিন দুই অভিযুক্তকে ঝাড়গ্রাম সিজেএম আদালতে হাজির করা হলে তাদের জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
ঝাড়গ্রামের পুলিস সুপার অরিজিৎ সিনহা বলেন, অভিযোগের পর তদন্তে নেমে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিজেপি প্রার্থী সাঁকরাইল থানার রোহিনী থেকে রগড়া এলাকায় যাচ্ছিলেন। সেই সময় কাঠুয়া পাল এলাকায় বিজেপি প্রার্থীর উপর আক্রমণের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। জানা যায়, বিজেপি প্রার্থীকে গাড়ি থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। এরপর বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সাথে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সাঁকরাইল থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনাস্থলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন বিজেপি প্রার্থী। তাঁকে উদ্ধার করে ভাঙাগড় গ্রামীণ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এরপর রাতেই বিজেপির জেলা নেতৃত্ব সাঁকরাইল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে দু’জনকে গ্রেফতার করা হল।
এদিন প্রার্থীকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রার্থী প্রণত টুডু বলেন, খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। এখনও গায়ে জ্বর রয়েছে। সুস্থ হয়ে খুব তাড়াতাড়ি ভোটের ময়দানে নামতে চাই।
অপরদিকে ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন, এমন কিছুই ঘটনা ঘটেনি। মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে। এই জবাব ভোট বাক্সে মানুষ দেবে।