অরুপ কুমার মাজি,জেএনএফ,ঝাড়গ্রাম:
গত বুধবার ঝাড়গ্রাম হাসপাতালের রেডিওলোজি বিভাগের প্রণত টুডু নামে এক চিকিৎসক হটাৎই নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন যেখানে লেখা রয়েছে “লড়াইয়ের মাঠে দেখা হবে রাজনীতির ময়দানে দেখা হবে। ” আর এই পোস্ট ঘিরে ঝাড়গ্রাম জেলার রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা। চিকিৎসকের করা এই পোস্ট টির সাথে চার বছর আগের একটি রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় করা ঘটনার সাথে আংশিক মিল খুঁজে নানান জল্পনা শুরু হয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলার রাজনৈতিক মহলের অন্দরে।
২০২০ সালের ১০ নভেম্বর তৎকালীন তৃণমূলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামের তেখালিতে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ডাকা শহীদ সভার একটি অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে একটি ইঙ্গিত পূর্ণ মন্তব্য করেন ” লড়াইয়ের মাঠে দেখা হবে,রাজনীতির মঞ্চে দেখা হবে,জয় জয় নন্দীগ্রাম। সঙ্গে আছেন তো। ” এই মন্তব্যটি শুভেন্দু তখনই করেছিলেন যখন তিনি তৃণমূলের সঙ্গ ত্যাগ এবং অন্য একটি রাজনৈতিক দলে যোগদানের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ঠিক তার একমাস পরেই রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় করে দেয়া একটি ঘটনা ঘটে। এই মন্তব্যের ঠিক এক মাস পর ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুর কলেজ কলিজিয়েট মাঠে বিজেপির সভাতে অমিত শাহের হাত ধরে তিনি বিজেপি তে যোগ দেন।
এই ঘটনার সাথেই ওই চিকিৎসকের পোস্ট কে তুলনা করে অনেকে মনে করছেন শুভেন্দু অধিকারীর তিন বছর আগে করা এই মন্তব্য কে অনুসরণ করে হয়তো এই চিকিৎসক আগামী দিনে ঝাড়গ্রাম জেলার রাজনীতিতে নামতে চলেছেন। ঘটনা প্রবাহে কিছুদিন ধরে শোনা যাচ্ছে প্রণত বাবু ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির সম্ভাব্য প্রার্থী। সূত্রের খবর তাঁর প্রার্থী পদ নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি চিকিৎসকের চাকরি থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন। অনেকে মনে করছেন যেহেতু তিনি প্রার্থী হবেন,আগামী দিনে রাজনীতিতে নামবেন সেই সূত্রেই হয়তো তিনি নিজের চিকিৎসকের কর্মজীবন থেকে ইস্তফা দিয়ে ফেসবুকেও শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যকে অনুসরণ করেই তিনি একই মন্তব্য করে সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছেন।
এই বিষয় নিয়ে সাথে প্রণত বাবুর সাথেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ” আমার ইস্তফা গৃহীত হয়েছে। দুই একটা দিন অপেক্ষা করলে আমার এই ফেসবুক পোষ্টের পুরো বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাবে “