Breaking
23 Dec 2024, Mon

জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত স্বামীর বীমার টাকা হাতে পেলেন স্ত্রী!

সুদীপ্ত মিত্র, জেএনএফ, ঝাড়গ্রাম : ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের অফিসে অভিযোগ জানানোর মাত্র একমাসের মধ্যেই স্বামীর বীমার টাকা হাতে পেলেন স্ত্রী। ঝাড়গ্রাম জেলার বেলিয়াবেড়া থানার অন্তর্গত আধারিয়া গ্রামের বাসিন্দা ঝুমা জানা। গত ৩১ জানুয়ারি তিনি ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব তথা বিচারক সুক্তি সরকারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে ঝুমা জানা জানিয়ে ছিলেন,’২০২৩ সালের ১৬ জুন আমাদের বাড়িতে মনসা পুজো হচ্ছিল। ওই দিন রাত সাড়ে দশটা নাগাদ আমার স্বামী প্রবীর জানার গ্রিলে হাত দেওয়া মাত্র বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান।’ স্বামী প্রবীর জানার মৃত্যুর পর স্ত্রী ঝুমা জানা সমস্ত নথি নিয়ে বীমার টাকা পাওয়ার জন্য আবেদন জানালেও তাঁকে ফিউশন মাইক্রো ফিন্যান্স প্রাপ্য টাকা দিচ্ছিলেন না। এরই মাঝে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখার্জী একটি অর্ডার জারি করেন। ওই অর্ডারে রাজ্যের সমস্ত জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয় বালাসোরে ট্রেন দুর্ঘটনা, বজ্রপাতে মৃত্যু, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হওয়া মৃতের পরিবার সরকারি ক্ষতিপূরণ পেয়েছে কিনা জানতে হবে। আর যদি না পাই তাহলে ওই পরিবারকে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা করতে হবে। তারপর ঝাড়গ্রাম জেলার এধরনের পরিবার গুলিকে গত ৩১ জানুয়ারি ঝাড়গ্রাম জেলা আদালতের কনফারেন্স হলে ডাকা হয়। সেখানেই তাঁর এই সমস্যার কথা জানান ঝুমা জানা। তারপর ওই দিনই একটি প্রি-লিটিগেশন মামলা রুজু করার নির্দেশ দেন সচিব তথা বিচারক সুক্তি সরকার। তারপর বীমা সংস্থার ম্যানেজারকে নোটিশ করে ডেকে পাঠানো হয় ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের অফিসে। ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব তথা বিচারক সুক্তি সরকার বীমা সংস্থার কর্মীর কাছে টাকা না দেওয়ার কারণ জানতে চান। তারপরেই বীমা সংস্থার পক্ষ থেকে ঝুমা জানাকে টাকা দেওয়ার আশ্বাস দেন। তারপর কয়েক দিন আগে ঝুমার একাউন্টে ২ লাখ টাকা জমা করে বীমা সংস্থা। স্বামীর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর জীবন বীমার টাকা হাতে পেয়ে বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের অফিসে আসেন ঝুমা জানা। এদিন বিচারক মামলাটি নিষ্পত্তি করেন।

Developed by