ঝাড়গ্রাম: জামা ও প্যান্ট খুলে ধান জমিতে শুইয়ে পুলিশের চোখে ধুলো দিতে চেয়েছিল ডাকাত দলের সদস্যরা। কিন্তু ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের তৎপরতায় ধরা পড়ল ৫ জন। ড্রোন উড়িয়ে ৫ জন কে হাতে নাতে পাকড়াও করলো ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের বিশেষ দল । তবে একজন পলাতক। ধৃতরা হল প্রকাশ কুমার, নবীন কুমার, গৌরব সিং, রোশন কুমার, সুজিত কুমার। ধৃতদের সবার বিহার রাজ্যে বৈশালী জেলায় ।ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহা বলেন, “পাঁচজনকে ধরার পর পশ্চিম মেদিনীপুর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ডাকাত দলকে ধরার জন্য জেলা পুলিশের তরফ থেকে ওই টিমকে ৬০ হাজার টাকা পুরষ্কৃত করা হচ্ছে।”
শুক্রবার সকালে ডাকাতি করার পর ডাকাত দলটি খড়গপুর শহর থেকে বেরিয়ে কলকাতা-মুম্বাই ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে লোধাশুলির দিকে রওনা দেয় । ডাকাত দলকে ধাওয়া করে খড়গপুর থানার পুলিশ । খেমাশুলি নাকা ভেঙে দুষ্কৃতিরা ৪৯ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে ফেকোর দিকে এগিয়ে আসে।
ফেকো মোড়ের কাছে জাতীয় সড়ক থেকে বাঁদিকে ঢুকে পড়ে ডাকাত দলের গাড়ি। গোপীবল্লভপুর হয়ে ওড়শিার দিকে চম্পট দেয়। ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ খবর পেয়ে বেলিয়াবেড়া থানার রান্টুয়া এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়াটার ) কল্যাণ সরকার এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন) উত্তম ঘোষের নেতৃত্বাধীন নাকা চেকিং শুরু হয়।
বিহারের নম্বর প্লেটের একটি সাদা রঙের স্করপিও গাড়িতে করে ডাকাত দলটি রান্টুয়া এলাকায় পৌঁছতেই বিশাল পুলিশ বাহিনী দেখে গাড়ি ছেড়ে দৌড়ে পালায়। তাদেরকে ধরার জন্য ধাওয়া করে পুলিশ। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে জামা প্যান্ট খুলে অনেকেই ধান জমির মধ্যে লুকিয়ে যায়। বেলিয়াবেড়া থানার পাইকাম্বি ও বেলিয়া এলাকা ড্রোন উড়িয়ে ধান জমি থেকে ডাকাত দলের মোট পাঁচজনকে হাতে নাতে ধরে পুলিশ । জানা গিয়েছে, স্করপিও গাড়িতে মোট ৬ জন ছিল। ধূতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে একজন পলাতক।