Breaking
23 Dec 2024, Mon

পুজোর আগে নৌকাবিহার চালুর দাবি চিল্কিগড়ে

চিল্কিগড় মন্দির

ঝাড়গ্রাম : পুজোর আগে নৌকাবিহার চালু হলে চিল্কিগড়ে আরো ভিড় বাড়বে পর্যটকদের দাবি মন্দির কমিটির। পুজো যত সামনে এগিয়ে আসছে চিল্কিগড় বেড়ানোর জন্য পর্যটকদের ভিড় ততই বেড়ে চলেছে দিনের পর দিন । ডুলুং নদীর তীরে চিল্কিগড়ের অরণ্যের মনোরম পরিবেশে বেড়ানোর পাশাপশি মা কর্ণক দুর্গার পুজো দেওয়ার জন্য প্রতিদিন দূর দুরান্তের বহু পর্যটক ও পুন্যার্থীরা আসছেন চিল্কিগড়ে পর্যটকদের জন্য প্রশাসনের উদ্যোগে ঢেলে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল চিল্কিগড় মন্দির প্রাঙ্গণকে । শিশুদের খেলার জন্য শিশু উদ্যানও নির্মাণ করা হয়েছে মন্দির প্রাঙ্গণ । পর্যটকদের কাছে বাড়তি পাওনা হিসেবে ছিল নৌকাবিহার কিন্তু করোনা পরিস্থিতির পর থেকে তা কার্যত বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে । মন্দির প্রাঙ্গণে পৌঁছলে বাঁদিকে বড় করে লেখা রয়েছে নৌকাবিহার। নৌকাবিহার লেখাটা দেখার সাথে সাথে পর্যটকরা ছুটে যাচ্ছে নৌকাবিহারের ঘাটে । তারপরেই তাদের মন খারাপ। হতশ্রী দশায় পড়ে রয়েছে নৌকো বিহারের ঘাটটি । এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে ভগ্নপ্রায় অবস্থায় রয়েছে নৌকাবিহারের বোট গুলি । চিল্কিগড় মন্দির উন্নয়ন কমিটির সদস্য মানস জানা, স্বপনখামরুই বলেন,”নৌকাবিহার করার জন্য বহু পর্যটক ভিড় করতো । কিন্তু করোনা মহামারীর পর থেকে নৌকাবিহার বন্ধ হয়ে গিয়েছে । নৌকাবিহারের ঘাটটি সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে এবং বোট গুলিকেও পরিবর্তন করে নতুন বোট প্রয়োজন রয়েছে । আমরা ব্লক প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি ব্লক প্রশাসন এবং জেলা প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে পুনরায় নৌকাবিহার চালু করলে পুজোর আগে পর্যটকরা আরো বেশি আনন্দ উপভোগ করতে পারবে” । তারা আরো বলেন,”যে সমস্ত পর্যটক চিল্কিগড় বেড়াতে এসেছেন তারা এর আগেও বহুবার এসেছেন । যারা একসময় নৌকাবিহারের আনন্দ উপভোগ করেছে তারা এখন আসলে হতাশ হয়ে ফিরে যায়। আমাদের বলেন কবে নৌকাবিহার চালু হবে । আমাদের কাছে বলার মত কোন উত্তর থাকে না”। ঝাড়গ্রামের পর্যটন মানচিত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হল চিল্কিগড় । বর্তমান রাজ্য সরকারের উদ্যোগে চিল্কিগড় মন্দির প্রাঙ্গণকে সাজিয়ে তোলার পাশাপাশি চিল্কিগড়ের জঙ্গলে থাকা ভেষজ উদ্ভিদ গুলি চিহ্নিত করে নামকরণ করা হয়েছে । ফলে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ থেকেও এডুকেশনাল ভ্রমণের জন্য চিল্কিগড়ে আসেন বহু ছাত্র-ছাত্রী। কর্ণক দূর্গা মন্দিরের পুরোহিত গৌতম সড়ঙ্গী বলেন ,”দীর্ঘদিন ধরে বোট গুলি খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে । প্রশাসন যদি উদ্যোগ নিয়ে এই গুলি সারাই করে দেয় তাহলে আরো নৌকাবিহার চালু হয়ে যাবে। যারা পুজো দিতে আসে তারা আমাকে বলে আপনারা কেন নৌকাবিহার চালু করছেন না । নৌকোবিহার চালু হলে চিল্কিগড়ে পুজোর আগে আরো পর্যটকদের ভিড় বাড়বে ।

Developed by