ঝাড়গ্রাম: রাজবাড়িতে রাত্রি যাপন করে ৪০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপুজোর আনন্দে মেতে উঠতে চাইলে পুজোয় চলে আসতে হবে ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি । ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ির মধ্যেই রাজ পরিবারের উদ্যোগে রয়েছে “দ্যা প্যালেস ঝাড়গ্রাম” রিসোর্ট । রাজবাড়ীর মধ্যেই থাকার পাশাপাশি পুজোর সময় রাজ পরিবারের রাজকীয় খাবারের “রাজকীয় থালি” থাকছে পর্যটকদের জন্য । রাজ পরিবারের সদস্য বিক্রমাদিত্য মল্লদেব বলেন,”পর্যটকদের জন্য এবছর রাজ পরিবারের রাজকীয় খাবারের জন্য রাজকীয় থালি চালু করা হয়েছে । যারা এখানে থাকবেন তাদেরকে অগ্রিম জানিয়ে দিতে হবে তারা রাজকীয় থালির খাবার খেতে চাই । তাহলে তিনি পেয়ে যাবেন রাজকীয় খালির সুস্বাদু খাবার” । পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন মানচিত্রে ঝাড়গ্রাম বেড়ানোর একটা সেরা ঠিকানা । পুজোর সময় দেশ-বিদেশের বহু পর্যটক ঝাড়গ্রাম বেড়াতে আসেন । ঝাড়গ্রামে সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে প্রচুর সংখ্যক হোটেল, লজ, হোম-স্টে তৈরি হয়েছে । তার পাশাপাশি ঝাড়গ্রাম রাজ পরিবারের উদ্যোগে ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ির মধ্যেই রয়েছে “দ্যা প্যালেস ঝাড়গ্রাম” নামের রিসোর্ট। ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ির ঐতিহাসিক কক্ষগুলিকেই পর্যটকদের থাকার জন্য রাজকীয়ভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে । বর্তমান সময়ে পর্যটকদের জন্য ১৪ টি ঘর রয়েছে ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ীতে। অনলাইন বা ফোনের মাধ্যমে বুকিং করা যায় আবার রাজবাড়ীতে পৌঁছোও অফলাইনের মাধ্যম বুকিং করার ব্যবস্থা রয়েছে । ঝাড়গ্রাম রাজ পরিবারের দুর্গাপুজো প্রায় ৪০০ বছর পুরনো । দুর্গাপুজোর ১৫ দিন আগ জিতা অষ্টমী থেকেই ঝাড়গ্রাম রাজ পরিবারের পুজো শুরু হয়। এখানে দেবী দুর্গা পটেশ্বরী রূপেই পূজিত হয়। ঝাড়গ্রাম রাজ পরিবারে কুলোদেবী সাবিত্রী মন্দিরে এই দুর্গাপূজো হয়ে থাকে । সাবিত্রী মন্দিরের মধ্যেই রয়েছে পটচিত্রের দেবী দুর্গা। এখানেই ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ির প্রাচীন ঐতিহ্য মেনাই প্রতিবছর পূজো হয়। সপ্তমীর দিন রাজ পরিবারের সদস্যরা রাজবাড়ী থেকে খড়গ, রাজলক্ষ্মী, শালগ্রাম শিলা ও ঘট শোভাযাত্রা সহকারে নিয়ে আসে সাবিত্রী মন্দিরের দেবী দুর্গার পূজাস্থলে । ১৫দিন আগে থেকেই পুজো শুরু হয় প্রতি নিয়ত চণ্ডীপাঠ হয়ে থাকে । দশমীর দিন পাঁঠা বলি দেওয়া হয় । পাটাবিদা অর্থাৎ প্রতীকী শত্রু নিধনের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার পূজার সমাপ্ত হয়। এই প্রথা মেনেই ৪০০ বছর ধরে চলে আসছে ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ির পটচিত্রের পটেশ্বরী দুর্গার পুজো ।