অর্পিতা দাস পাল, জেএনএফ(মেদিনীপুর) :
পাঁচশো বছর পরেও তিনি প্রাসঙ্গিক! তাঁর চিন্তাধারায় মানব সমাজে এখনও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। অস্থির পরিস্থিতিতে মুক্তি পথের দিশারি শ্রীচৈতন্যদেব, আন্তর্জাতিক সেমিনারে যোগ দিয়ে একথায় জানালেন প্রাক্তন উপাচার্যরা। ২৩ জুন শুক্রবার মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরেন্দ্র শাসমল সভাগৃহে ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে’র উদ্যোগে ‘বাংলা সাহিত্য সমাজ ও সংস্কৃতিতে শ্রীচৈতন্যদেব’ শীর্ষক একদিনের আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। হাওড়ার হিন্দী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক দামোদর মিশ্র সহ অতিথিরা প্রদীপ প্রজ্বলন, তুলসী গাছের চারায় জল দিয়ে এবং শ্রীচৈতন্যদেবের প্রতিকৃতিতে পুষ্প নিবেদন করে সেমিনারের উদ্বোধন করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক শিবাজী প্রতিম বসু। অনুষ্ঠানের বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্বরোচিষ সরকার, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথিতযশা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপিকা সত্যবতী গিরি, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপিকা মুনমুন গঙ্গোপাধ্যায়, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক লায়েক আলি খান, অধ্যাপক শ্রুতিনাথ চক্রবর্তী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক বাণীরঞ্জন দে, অধ্যাপিকা ছন্দা ঘোষাল, অধ্যাপক সুজিতকুমার পাল, অধ্যাপিকা মনাঞ্জলি বন্দোপাধ্যায়, সহকারী অধ্যাপক মহর্ষি সরকার, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক বিশ্বরঞ্জন ঘোড়ই সহ প্রায় আড়াইশো জন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজের অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, গবেষক, পড়ুয়ারা। জগন্নাথদেবের রথযাত্রার সপ্তাহে শ্রীচৈতন্যদেবের পুনর্মূল্যায়নে সেমিনারে নতুন আলোকবর্তিকা উদ্ভাসিত হল গুণীজনদের কথায়। বর্তমান অস্থির পরিস্থিতিতে শ্রীচৈতন্যদেব সত্যি কতটা প্রাসঙ্গিক তা উপাচার্য থেকে শুরু করে গবেষকদের বক্তব্যে ফুটে উঠল। সমাজের সকল স্তরের মানুষকে এক সুতোয় মিলিয়ে দিতে পেরেছিলেন শ্রীচৈতন্যদেব, তা বক্তাদের কথায় বারে বারে ফিরে আসে। শুধু বাংলা নয় হিন্দি সাহিত্য-সমাজেও শ্রীচৈতন্যের যোগের কথা উল্লেখ করেন হিন্দী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য দামোদর মিশ্র। গণআন্দোলন ও নবজাগরণের ‘পথিকৃৎ’ যে শ্রীচৈতন্যদেব তা গবেষকদের গবেষণাধর্মী বক্তব্যে আন্তর্জাতিক সেমিনারে ফুটে ওঠে। আন্তর্জাতিক সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন এবং সমাপ্তিতে সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক সরোজকুমার পান।