ঝাড়গ্রাম: বাহানাগাতে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় আহত গোপীবল্লভপুরের বাসিন্দা শুভেন্দু বেজের মৃত্যু হল কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। শনিবার একুশ বছর বয়সী শুভেন্দুর মৃত্যুর পর তাঁর পরিজনেরা চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন। ২ জুন খড়গপুর থেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে চেপে চেন্নাইতে কাজের জন্য যাচ্ছিলেন দুই ভাই শুভেন্দু বেজ ও পঙ্কজ বেজ। ট্রেনের সাধারণ কামরায় থাকায় ট্রেন দুর্ঘটনার পর দু’ভাইয়ের কোন খোঁজ পায়নি পরিজনেরা। এমনকি তাঁদের মোবাইল ফোনেও যোগাযোগ করতে পারেনি তাঁদের পরিজনেরা। তারপর তাঁর দিদি অর্চনা বেজ সোশ্যাল মিডিয়াতে দুই ভাইয়ের ছবি দিয়ে সন্ধানের জন্য আবেদন করেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করার ছ’ঘন্টা পর তাঁদের পরিবারের লোকেরা জানতে পারেন দুই ভাই বালেশ্বর ফকিরমোহন আই হাসপাতাল চত্বরে রয়েছে। পঙ্কজের চোখে গুরুতর আঘাত লাগলেও শুভেন্দুর শরীরের বাইরে কোন আঘাতের চিহ্ন ছিল না। পরিবারের লোকেরা দুই ভাইকে সেখান থেকে নিয়ে এসে প্রথমে গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। তারপর সেখানে সিটি স্ক্যান না থাকায় সেখান থেকে রেফার করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। কিন্তু সেখানেও শুভেন্দুর শরীরের কোন সমস্যা ধরতে পারেনি চিকিৎসক অভিযোগ পরিজনদের। দিদি অর্চনা বেজ বলেন,‘ভাইকে গাড়িতে করে যখন এনআরএস হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গাড়ি থেকে নেমে নিজে হেঁটে হাসপাতালে ঢুকেছিল। কিন্তু ওখানে চারদিন শুধু স্যালাইন দিয়ে ফেলে রাখা হয়েছিল। তারপর আমরা এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে এলেও সেখানে প্রথমে কোন চিকিৎসা শুরু করা হয়নি। গতকাল থেকে চিকিৎসা শুরু হওয়ার পর এদিন সকালে হাসপাতালে মৃত্যু হয় ভাইয়ের। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসকরা সমস্যার বিষয়টি ধরতে না পেরেই অকালে চলে গেল ভাই!