ঝাড়গ্রাম: ঝাড়খন্ড থেকে গ্রেফতার হওয়া কুড়মি নেতাকে সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দিলো ঝাড়গ্রাম আদালত । অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ের উপর হামলা এবং রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় ঝাড়খন্ড থেকে আরো এক কুড়মি নেতাকে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে গগ্রেফতার করে সিআইডি । শুক্রবার তাকে ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হলে সিআইডির পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্তের জন্য কৌশিক মাহাতো কে আট দিনের সিআইডি হেফাজতের আবেদন জানায় করা হয় । জানা গিয়েছে, ঘটনায় পুলিশ সওমট মামলা করে । মামলার এফআইআর কপিতে নাম থেকে কৌশিকের । কারন গড় শালবনীর ঘটনার দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন কৌশিক । এই কুড়মি নেতা ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়ে ঝাড়খন্ড রাজ্যের পূর্ব সিংভূম জেলার চাকুলিয়া থানার অন্তর্গত বড়কলা গ্রামে ছিলেন । সিআইডি গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বড়কলা গ্রামে হানা দিয়ে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কৌশিক মাহাতোকে গ্রেফতার করে । এই ঘটনায় কুড়মি সমাজ পশ্চিমবঙ্গ এর রাজ্য সভাপতি রাজেশ মাহাতো, আদিবাসী জনজাতি কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি শিবাজী মাহাতো এবং আদিবাসী নেগাচারী কুড়মি কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি অনুপ মাহাতো গ্রেফতার হয়ে জেলবন্দী রয়েছেন । তার মধ্যে কুড়মি আন্দোলনকারী বিজেপির সক্রিয় কর্মী জয় মাহাতো সিআইডি হেফাজতে রয়েছে । কৌশিকের গ্রেফতারি নিয়ে অভিষেকের কনভয়ে হামলার ঘটনায় মোট গ্রেফতার হল ১১ জন কুড়মি নেতা ও আন্দোলনকারী । এডিজে ১ আদালতে কৌশিক কে তোলার সময় কৌশিক বলেন , ” আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে । আমাদের আন্দোলন যেমন চলছে চলবে” ।
সরকারি আইনজীবী প্রশান্ত রায় বলেন,”ইস্ট সিংভূম চাকুলিয়া থানার বড়কলা গ্রাম থেকে সিআইডি গ্রেফতার করেছে কৌশিককে। তাকে আদালতে তোলা হলে সিআইডি ৮ দিনের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানালে বিচারক ৬ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন”।