নদীয়া : এলাকায় অনেকদিন চুরি ডাকাতি না থাকায় রাত জেগে চাষীদের গবাদী পশু পাহারা দিতে হয়না হলেই একটু শান্তিতে ঘুম। তাই গরুর গলায় লোহার চেন দিয়ে তালা দেওয়ার প্রয়োজও পড়েনা।
হোগালবাড়িয়া থানার কাছারিপাড়া গ্রামের বিপ্লব মণ্ডল আর পাঁচটা দিনের মতো পাটের খেতে নিড়ানীর কাজ করে ক্লান্ত শরীরে সন্ধ্যে হতে না হতেই ঘুমিয়ে পড়ে। রাত্রী ২ টো নাগাদ ঘুম ভেঙে উঠে দেখে তার গরুটা গোয়ালে নাই।বিপ্লবের বুঝতে দেরী হয়না যে গরুটি বাংলাদেশের গরু পাচারকারী দুষ্কৃতীরা চুরি করে নিয়ে গেছে।পূর্বের অভ্যেস বসত সে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বিএসএফ ক্যাম্পে তার গরু চুরির ঘটনা জানায়। বিএসএফ কর্তৃপক্ষ তাঁদের কর্তব্যরত জওয়ানদের সতর্ক থাকার দেন। পাশাপাশি বিএসএফের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিক মিঃ দেবেন্দর সিং রাজওয়াত বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আজ সকালে বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফকে জানানো হয়, গরুটি বিজিবির হাতে ধরা পড়েছে।ভারতীয় সময় সকাল ৯ টায় নিউ উদয় বিওপির কোম্পানি কমান্ডার দিলীপ কুমার মেধীর নেতৃত্বে দুই দেশের সীমানা নির্দেশকারী ১৫৪/৪এস পিলারের নিকট উভয় দেশের সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর মধ্যে এবিষয়ে একটি পতাকা বৈঠক হয়। বাংলাদেশের তরফ থেকে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির রামকৃষ্ণপুর ক্যাম্প কমান্ডার আব্দুল রহমান সহ তাঁর সহকর্মীরা।পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির পক্ষ থেকে গরুটি বিএসএফের হাতে ফেরৎ দেওয়া হয়। পরে বিএসএফের তরফ থেকে মধুগাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য শঙ্কর মণ্ডলের উপস্থিতিতে গরুটি গরুর মালিক বিপ্লব মণ্ডলের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
বিজিবির ভূমিকায় খুশী হয়ে বিএসএফের ১৪১ নং ব্যাটেলীয়নের কম্যান্ড্যান্ট নগেন্দ্র সিং রতেলা নিউ উদয় বিওপির কোম্পানি কমান্ডার দিলীপ কুমার মেধীর মাধ্যমে বিজিবির ক্যাম্প কমান্ডার আব্দুল রহমান সহ তাঁর সহকর্মীদের ধন্যবাদ জানান।