ঝাড়গ্রাম: “মুখ্যমন্ত্রী কে ভুল বুঝবেন না । আপনাদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রী শ্রদ্ধাশীল । আমি আপনাদের বার্তা পৌঁছে দেবো।” কুড়মিদের ঘাঘর ঘেরা কর্মসূচিতে ঘেরাও এর মধ্যে পড়ে কুড়মিদের এই বার্তা দিলেন মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া । বিনপুর দু’নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে নবজোয়ার কর্মসূচির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য বেলপাহাড়ি যাচ্ছিলেন মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া । কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে জামবনির মোড়ে ঘাঘর ঘেরা কর্মসূচিতে ঘেরাও হন মন্ত্রী । জামবনির মোড় এর কাছে হাতে হলুদ পতাকা,মাথায় হলুদ গামছা বেঁধে, “জয় গরাম” স্লোগান দিতে থাকে কুড়মি সামাজিক সংগঠনের মানুষজনেরা । উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি রাজেশ মাহাতো । গাড়ি থেকে নেমে মানস রঞ্জন ভূঁইয়া কুড়মিদের দাবি প্রসঙ্গে রাজেশ মাহাতোর সঙ্গে কথা বলতে বলেন । সিআরআই রিপোর্টে জাস্টিফিকেশন এর দাবি নিয়ে মন্ত্রীর সাথে কথা বলেন তারা। মন্ত্রী তাদের কাছ থেকে দাবি পত্র নিয়ে রাখেন। মানস রঞ্জন ভূঁইয়া তাদের বলেন ,”আমি আপনাদের সমাজের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা জানাই। আমার রাজনৈতিক এবং সামাজিক জীবনে আপনাদের সাথে সম্পর্ক ভালো। মুখ্যমন্ত্রীও খুবই সহানুভূতিশীল। তবে টেকনিক্যাল মেটাতে কোথায় কি হচ্ছে একটু স্টাডি করতে দিন, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এবং মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো। আলোচনার মাধ্যমে একটা জায়গায় আসতে পারবো আশা করছি। প্রত্যেকের সামাজিক প্রতিষ্ঠানের গণতান্ত্রিক অধিকারের ভিত্তিতে আপনারা আপনাদের কথা বলছেন। প্রশাসনিক ভাবে চূড়ান্ত করবে কেন্দ্র, রাজ্যের ক্ষমতা নেই। তবে কি কি করনীয় পর্যালোচনা করে দেখবো। কাগজপত্র নিশ্চই করে পাঠাবো রাজ্যে। আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তর, সিআরআই দপ্তর নিশ্চয় পর্যালোচনা করবেন। আগামী দিনে কিছু হতে পারে সেই আশা নিয়ে থাকলাম। আপনারা নিশ্চয় গণতান্ত্রিক অধিকার নিয়ে করবেন, মুখ্যমন্ত্রীর উপর আস্থা রাখুন সহানুভূতিশীল চিন্তা ভাবনা নিয়ে। ৭টা পয়েন্ট জাস্টিফিকেশন কপিটা দেবেন। পর্যালোচনার পর নিশ্চয় জানাবো। প্রত্যেক সম্প্রদায়ের দেবতা রয়েছে প্রণাম জানায়”। যাওয়ার পথে মানুষ ভূঁইয়া কুড়মিদের উদ্দেশ্যে বলেন,”আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে ভুল বুঝবেন না । তিনি আপনাদের প্রতি মানবিক ,সহানুভূতিশীল আপনাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমি আপনাদের বার্তা উনার কাছে পৌঁছে দেব”।
রাজেশ মাহাত বলেন, “৭৩ বছরের বঞ্চনা। রাজ্য সরকারের যা করনীয় তার অনেকটাই করেছে। তবে আর একটু কাজের জন্য কেন বসে থাকতে হবে”।
এসটি তালিকা অন্তর্ভুক্তকরণের দাবিতে কুড়মিদের ঘাঘর ঘেরা কর্মসূচি শুরু হয়েছে জঙ্গলমহল জুড়ে। সেই ঘাঘর ঘেরা কর্মসূচিতে জঙ্গলমহলে আসা জনপ্রতিনিধিদের ঘেরাও করে তাদের আন্দোলন প্রসঙ্গে জনপ্রতিনিধির মতামত জানা হচ্ছে। কয়েকদিন আগে লালগড়ে ঘেরাও হয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ সেদিন দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের জেরে যথেষ্ট ক্ষিপ্ত হয়েছেন কুড়মিরা । সেই বিতর্ক বেড়েই চলেছে ।অপরদিকে গতকাল বুধবার বাঁকুড়ায় ঘাঘড় ঘেরায কর্মসূচির মধ্যে পড়েন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ।