মন্দিরে সাধু সন্ন্যাসী কিংবা ভক্তরা নয়, থাকে কুড়ি থেকে ২৫ টি কুকুর। তারাই দেয় মন্দিরের পাহারা চেয়ারে বসে আরাম করে এমনকি ঘোরাঘুরি করে মন্দির চত্বরে। মায়াপুরের গঙ্গা তীরবর্তী সংলগ্ন এলাকার শ্রী শ্রী রাধা শ্যামসুন্দর জীউর মন্দিরে গেলেই আপনি দেখতে পারবেন এই দৃশ্য। যেখানে প্রবেশ করলে দেখতে পাওয়া যাবে প্রভুভক্ত কুকুরের ভিড়।
মায়াপুর ইসকন চন্দ্রোদয় মন্দিরে সারা বছরই ভক্তদের আনাগোনা লেগে থাকে। তবে মায়াপুরে রয়েছে অসংখ্য ছোট বড় মন্দির। সেই সমস্ত মন্দিরগুলোতেও কমবেশি ভক্তদের ভিড় লক্ষ করা যায়। তবে শ্যামসুন্দর জীউর মন্দিরে ভক্তদের তুলনায় প্রভুভক্ত কুকুরেরই ভিড় থাকে বেশি।
মন্দিরের সেবাইত স্বামী তৎপর মহারাজ বলেন, অনেক সময় দেখা যায় কুকুরকে রাস্তায় মারধর করা হয় কিংবা বিভিন্নভাবে তাদেরকে উত্তপ্ত করা হয়। কিন্তু কুকুর অত্যন্ত প্রভুভক্ত একটি প্রাণী। সেই কারণেই বেশ কিছু অসহায় কুকুরেরা এই মন্দিরে আশ্রয় নেয়। এরপরেই বিভিন্ন জায়গা থেকে কুকুরেরা এসে এই মন্দিরে থাকতে শুরু করে। বিশেষত লকডাউনের সময় স্থানীয় বেশকিছু কুকুরদের খাদ্যের অভাব হয়েছিল। সেই থেকেই এই কুকুরেরা এই মন্দিরে আশ্রয় নেয় এবং তাদের সমস্ত রকম চিকিৎসা থেকে শুরু করে খাবারের ব্যবস্থা করা হয় এই মন্দির থেকে।
এছাড়াও তিনি জানান এই সমস্ত কুকুরগুলিকে রক্ষণাবেক্ষণ এবং তাদের সেবাসুশ্রূষা করার জন্য বেশ কিছু অর্থের প্রয়োজন হয়। তবে একা তার পক্ষে খরচ করা অনেক সময় দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। তবে সমস্ত বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করেই মন্দিরে বিগ্রহের মতই কুকুরদেরও দিনের পর দিন সেবাসুশ্রূষা করে আসছেন স্বামী তৎপর মহারাজ।