শিলিগুড়ি : শনিবার শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত ফাঁসিদেওয়া ব্লকের দুধখাওয়াগছে বিধ্বংসী আগ্নিকান্ডের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল গোটা এলাকায়। জানা গিয়েছে যে এদিন সকালে স্থানীয়রা প্রথমে একটি বাড়ি থেকে আগুনের ধোঁয়া বের হতে দেখতে পান। এই দেখে তরীঘরী স্থানীয়রা খবর দেন পুলিশ ও দমকলকে। তবে আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে মহূতের মধ্যে আগুন গ্রাস করে আশে পাশে থাকা চারটি বাড়ি। এবং আংশিক পুড়ে যায় আরও দুটি বাড়ি। এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিশ ও দমকলের দুটি ইঞ্জিন। এরপর প্রায় একঘন্টা প্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে কিভাবে আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখছেন দমকলকর্মীরা। এই বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিক মহম্মদ আলি বলেন বাড়িতে আমরা কেউ ছিলাম না বাড়ি শুধু ছোট মেয়ে ছিল। এর পরেই আমাকে ফোন করে যে বাড়িতে আগুন লেগেছে। এই কথা শুনে তরীঘরী ছুটে আসি এবং দেখি বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এমনকি আমার মেয়ের বিয়ের জন্য বন্ধন থেকে লক্ষাধিক টাকা লোন নিয়েছি। এখন কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না। অপর এক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য রিনা খাতুন বলেন যদি এক ঘন্টা আগে দমকল আসতো তাহলে হয়তো এত বড় ক্ষতি আমাদের হতো না। এই আগুনে বাড়িতে থাকা যাবতীয় কাগজপত্র থেকে শুরু করে নগদ টাকাও পুড়ে গেছে। আমরা সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যদি আমাদের সাহায্য করে তাহলে উপকৃত হবো। এই বিষয়ে চটহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রাজেশ মন্ডল বলেন এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আর আমরা দাবি জানাচ্ছি যে এই এলাকায় যদি দমকলের কোন ব্যবস্থা করা হয় তাহলে এই এলাকার বাসিন্দারা উপকৃত হবে। এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন ফাঁসিদেওয়া ব্লক ১ তৃণমূলের সভাপতি আকতার আলি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।