নদিয়া:– জমি বিবাদের জেরে শিক্ষকের হাতে আক্রান্ত হলো এক যুবতী। যুবতীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের হরিপুর নীলকুঠি এলাকার। ওই এলাকার বাসিন্দা শম্ভু হালদারের অভিযোগ, জমি নিয়ে প্রতিবেশী পরিবারের এক শিক্ষকের সাথে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। যদিও শম্ভু হালদার বাড়িতে ছিলেন না। অভিযোগ বেশ কিছুটা সময় বাদে হঠাৎই ওই শিক্ষক বাড়িতে চড়াও হয় এরপর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করে। প্রতিবাদ করে শম্ভু হালদারের মেয়ে সুমিত্রা হালদার। অভিযোগ ওই শিক্ষক তখনই যুবতীকে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করে, পাশাপাশি মাথা মেরে ফাটিয়ে দেয়। খবর পেতেই ছুটে আসে শম্ভু হালদার এরপর ওই যুবতীকে নিয়ে আসে শান্তিপুর হাসপাতালে। যদিও হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে শম্ভু হালদার তার মেয়েকে নিয়ে দ্বারস্থ হয় শান্তিপুর থানার, এরপর অভিযুক্ত শিক্ষক প্রবীর হালদারের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে শান্তিপুর থানায়। যদিও যুবতীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে শান্তিপুর থানার পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর অভিযোগ হওয়ার পরে ওই শিক্ষক এলাকা ছেড়ে পলাতক। তবে অভিযোগকারী শম্ভু হালদারের পরিবারের দাবি, ওই শিক্ষক তাদের দু ফুট মতো জমি জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা করছে, এছাড়াও তাদের জমিতে একটি পিলার পর্যন্ত পুতে দেয় ওই শিক্ষক। আর এই নিয়ে বিবাদ শুরু হয় শিক্ষক ও তাদের মধ্যে তারপরেই ঘটে এই ঘটনা।