জেএনএফ ওয়েব ডেস্ক : করোনা ও লকডাউনের দীর্ঘসূত্রতা কাটিয়ে ফের ছন্দে পড়ুয়ারা। অফলাইন ক্লাসে লকডাউনের পর এই প্রথমবার আয়োজন হল অনুষ্ঠানের। আর সেই পথচলা শুরু হল বাঙালির হৃদয়ের ও মননের চিন্তা-চেতনার ধারক-বাহক রবীন্দ্রনাথকে কেন্দ্র করে। তাঁর ১৬২ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে উপস্থিত হয়েছিলেন অধ্যাপক-অধ্যাপিকা থেকে শুরু করে পড়ুয়া ও গবেষকরা। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের দিবা ও সান্ধ্য শাখার ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্যোগে রবীন্দ্রনাথের ১৬২ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতির পদ অলংকৃত করেন বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. সরোজ কুমার পান। এছাড়াও বিভাগের অধ্যাপিকা ড. ছন্দা ঘোষাল, অধ্যাপক ড. মহর্ষি সরকার এবং বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষা বিভাগের বাংলার অধ্যাপিকা ড. সাগরিকা ঘোষ ও ড. শিপ্রা ভট্টাচার্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। প্রথমে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. সরোজ কুমার পান। তারপর উপস্থিত সকল অধ্যাপক-অধ্যাপিকা প্রদীপের বাকি আলো শিখার প্রজ্বলন করেন। নৃত্য, সঙ্গীত, আবৃত্তি প্রভৃতির সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা তাঁদের আলোচনায় রবীন্দ্র প্রতিভার নানান দিক নিয়ে আলোচনা করেন। সেই সঙ্গে আজকের দিনে আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে রবীন্দ্রনাথের প্রয়োজনীয়তা ও প্রাসঙ্গিকতার দিকটি তুলে ধরেন। করোনা ও লকডাউনের দীর্ঘ দুবছর পর বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরণের অনুষ্ঠানের সফলতা পাওয়ায় খুশির হাওয়া পড়ুয়া-গবেষক থেকে শুরু করে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের মধ্যে।