Breaking
23 Dec 2024, Mon

নেশামুক্ত ঝাড়গ্রাম শহর গড়ে তোলার দাবিতে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, মহকুমা শাসক, পুরপ্রধানকে লিখিত

আবেদন জানাল ‘ঝাড়গ্রাম রিপোটার্স ক্লাব’!
জেএনএফ ওয়েব ডেস্ক : অরণ্য শহর ঝাড়গ্রাম। সবুজ শাল গাছে ঘেরা প্রকৃতির কোলে যেন এক অপরূপ দৃশ্য! স্বাধীনতার পূর্ব থেকেই যে ঝাড়গ্রাম হাওয়া বদলের স্থান হিসেবেই বেশি পরিচিত ছিল ভিন জেলার মানুষের কাছে। সেই ঝাড়গ্রামের আকাশে এখন কালো মেঘ! হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন। নেশার কালো মেঘে বুঁদ যুব সমাজ। নাবালক থেকে সাবালক একাংশ সেই পথের পথিক। গত কয়েক বছরে সেই নেশাসক্ত পথিকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ইদানিং ঝাড়গ্রাম জেলার একমাত্র পুরসভা অরণ্যবেষ্টিত ঝাড়গ্রাম শহরে নেশাসক্তের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। যার প্রভাব পড়ছে তাদের পরিবার থেকে শুরু করে সমাজ জীবনে। গত সপ্তাহে ঝাড়গ্রাম শহরের এক নাবালকের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন শহরের এক যুব নেতা। ঝাড়গ্রাম শহরের জনজীবনে এবং যুব সমাজে এর ভয়ংকর প্রভাব পড়ছে। চিন্তায় রয়েছেন শহরের সাধারণ নাগরিকরাও। এজন্য অবশ্যই দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ জরুরি বলে ‘ঝাড়গ্রাম রিপোটার্স ক্লাব’ মনে করে। বৃহস্পতিবার সে বিষয়ে ‘ঝাড়গ্রাম রিপোটার্স ক্লাবে’র সভাপতি সুমন্ত সিনহা ও সম্পাদক অশোক ভট্টাচার্যের স্বাক্ষরিত চিঠির আবেদন নিয়ে ঝাড়গ্রাম জেলার পুলিশ সুপার, মহকুমা শাসক এবং পুরপ্রধানের সাথে সাক্ষাৎ করে সম্পূর্ণ বিষয়ে অবহিত করেছেন ‘ঝাড়গ্রাম রিপোটার্স ক্লাবে’র সদস্যরা। এছাড়াও ঝাড়গ্রামের জেলাশাসকের দপ্তরেও লিখিত আবেদন পত্র জমা দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে সকল প্রশাসনিক কর্তারা বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপের দ্রুত ‘আশ্বাস’ দিয়েছেন। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, একাধিকবার রেড করা হচ্ছে। মহকুমা শাসক জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে জনসচেতনতা প্রচার করা হবে। পুরপ্রধান জানিয়েছেন, আগামী বোর্ড মিটিং এ সকল কাউন্সিলদের নিয়ে বৈঠক করে সমস্ত কাউন্সিলরকে নিয়ে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হবে। শুধুমাত্র প্রশাসনিক কর্তা বা জনপ্রতিনিধি নয় ঝাড়গ্রাম শহরের দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে একাজে। আপামর জনগনকে সাথে নিয়ে নেশামুক্ত অরণ্য শহর গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর ‘ঝাড়গ্রাম রিপোটার্স ক্লাব’। যেখানে থাকবে না হিংসা-বিদ্বেষ-ঘৃণা! থাকবে শুধুই শাল-পলাশের সুবাসিত হাওয়া…

Developed by