১৬৪৮ সালে খাঁ চৌধুরী বংশ কর্তৃক নির্মিত এই সুবিশাল মন্দির, কষ্টিপাথর এবং অষ্টধাতুর রাধা কৃষ্ণ মূর্তি নিত্য পূজিত হয় এই মন্দিরে । এই মন্দির কে কেন্দ্র করে শান্তিপুরে দোল উৎসব এক অনন্য মাত্রা পায় ,দোল উৎসবের দিন সকালবেলায় মন্দির থেকে বিগ্রহ নাটমন্দিরে আসে ভক্তবৃন্দ দের কাছে । বছরে এই একটি দিনই বিগ্রহ স্পর্শ করতে পারেন আপামর ভক্ত সাধারণ , রাধাকৃষ্ণের যুগল মূর্তি চরণ স্পর্শ করে আবির দানের মাধ্যমেই শুরু হয় দোল উৎসব , তারপর সারাদিন নিত্য পুজো ভোগ আরতি নগর পরিক্রমা পর সন্ধ্যায় সন্ধ্যারতির মাধ্যমে শেষ হয় দোল উৎসবের । মন্দিরের সেবায়েত জানাচ্ছেন প্রচুর পরিমাণে ভক্ত সমাগম হয় এই মন্দিরে, মন্দিরে থাকে ভক্তবৃন্দ দের জন্য ভোগ প্রসাদ ,তৎসহ এত প্রাচীন মন্দির সেই কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণ সিসি ক্যামেরা এবং নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন করা থাকে এই মন্দিরে । তাই দোল উৎসবের আগে মন্দিরে উৎসবের প্রস্তুতি তুঙ্গে ,চলছে শেষ পর্যায়ের কাজ । মন্দির সংলগ্ন ব্যবসায়ীরা এবার করণা আবহের পরে একটু আশার আলো দেখার চেষ্টা করছেন, তবে তাদের একটাই কথা শান্তিপুরের তাঁত শিল্প যেভাবে ভেঙে পড়েছে সেখানে দোল উৎসব কতটা আনন্দমুখর হবে সেটাই ভাবার বিষয় ।তবুও দোল উৎসবে একটু হলেও লাভের আশায় পথ চেয়ে দোকানিরা ।