Breaking
23 Dec 2024, Mon

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে ফিরলেন উত্তরবঙ্গে আট ডাক্তারী পড়ুয়া

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে ফিরলেন বাগডোগরা বিমানবন্দরে ফিরলেন উত্তরবঙ্গে আট ডাক্তারী পড়ুয়া। এদিন শিলিগুড়ির তিন পড়ুয়া, উত্তর দিনাজপুরের তিন পড়ুয়া ও আলিপুরদুয়ার দুই পড়ুয়া ছিল এক‌ই সাথে বিমানবন্দরে নামেন। শিলিগুড়ির প্রীতম মালাকার ইউক্রেনের পোল্টাভায় স্টেট ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী, শিলিগুড়ির বিশাল সাহা খারকিভ ন‍্যাশনাল মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং শিলিগুড়ির অক্ষত কুমার দাস কিভ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। আলিপুরদুয়ারের দিভয়ম কৌশিক ও তনবির ইসলাম বুকোভেনিয়ান স্টেট মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী‌। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার দুই ভাই সোহেল আখতার ও সাহিদ আখতার বোগোমোলেটস ন‍্যাশনাল মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী এবং ইসলামপুরের পাভেল দাস টার্নোপিল ন‍্যাশনাল মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। প্রীতম মালাকার বলেন আমার বোর্ডারে পৌঁছাতে খুব কষ্ট হয়েছিল। আমি ২৮ তারিখ থেকে জার্নি শুরু করি এবং পৌছাই ৬ মার্চ এরপর দেশে ফিরি। বিশাল সাহা বলেন যে আমাদের খারকিভ রেল স্টেশনে যেতে হয়ে পায়ে হেঁটে। আর ঠিক ওই মুহূর্তেই আমাদের সামনেই বোমাটা ফেলেছিল। টক্সিটা পেয়েছিলাম এর জন্য বেঁচে গেছি তা নাহলে আমরা এখানে থাকতাম না। এরপর সেখান থেকে লাভিভ শহরের দিকে গেলে সেখানে আমাদের ট্রেনে উঠতে দিচ্ছিল না। প্রথমে ইউক্রেনিয়ান পরে ভারতীয় খুব ভেদাভেদ করেছিল। তারপর ট্রেনে ওঠার পর পোল্যান্ড বোর্ডারে যাওয়া হয়। আর খারকিভের অবস্থা খুবই খারাপ। চারদিকে বোমা পড়েছে একটা সুরক্ষিত জায়গা নেই। এখনও ছাত্ররা ওখানে ফেঁসে আছে। আমার বন্ধু যারা রয়েছে তারা ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে বোর্ডারে যাচ্ছে। পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিক হয় তাহলে আমাদের আবার যেতে হবে কারণ আমরা তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আর পড়াশোনার কেরিয়ারে এক প্রশ্ন চিহ্ন রয়েগেছে। তাই ভারত সরকার যদি কোন ভাবে আমাদের সাহায্য করে তাহলে খুবই ভাল হয়। দেশে ফিরে খুব ভাল লাগছে।

Developed by