পরিবারকে দেখতে পাবো সেই আসাটাও ছেড়ে দিয়েছিলাম, মৃত্যু সবসময় কাছ থেকে হাতছানি দিচ্ছিল। ইউক্রেন থেকে বাড়ি ফিরে চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ নিয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানালেন নদীয়ার শান্তিপুর থানার কাশ্যপ পাড়ার বাসিন্দা সুমন অধিকারী। জন মজুরের কাজ করে কোন রকমে চলত সংসার। কিছুটা আর্থিক স্বচ্ছন্দ ফেরাতে হবে। সেই লক্ষ্যেই টাকা ধার নিয়ে কোনরকমে সুদূর ইউক্রেনে গিয়েছিলেন কুরিয়ার সার্ভিসের কাজ করতে। মাত্র 6 মাস আগে গিয়েছেন তিনি। তার মধ্যেই ছন্দপতন। ইউক্রেন এবং রাশিয়ার যুদ্ধ কেড়ে নিল সব স্বপ্ন। বাড়তি উপার্জন তো দূরের কথা প্রাণ হাতে নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারবেন কিনা তা নিয়েই শুরু হয়েছিল দুশ্চিন্তা। কোনরকমে জীবন হাতে নিয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। চোখেমুখে এখনো আতঙ্কের ছাপ। কানে এখনো শুনতে পাচ্ছেন বোমা ভারতের শব্দ। তিনি বলেন পরিবারকে আর দেখতে পাবো কিনা তারাশা হয়তো ছিল না। তার কারণ আমরা যে গাড়িতে করে ইউক্রেনে থেকে বিমানবন্দরে আসছিলাম হঠাৎ হঠাৎ গোলা বারুদের আওয়াজে কেঁপে উঠছিল গাড়িটি। বিমানবন্দরে আসার পর দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে তবে তিনি দিল্লি পৌঁছতে পেরেছেন। সুমন অধিকারের আবেদন যে সমস্ত ভারতীয়রা ইউক্রেনের আটকে আছে তাদের অতিদ্রুত বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করুক কেন্দ্র সরকার।