পোল্যান্ডে প্রবেশ করতে না পেরে ফের ইউক্রেনে আশ্রয় নিতে হল খড়িবাড়ির দুধগেটের তৃতীয় বর্ষের ডাক্তারী পড়ুয়া অরবিন্দ ছেত্রী। ছেলে দেশে না ফেরায় চরম উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা। এই খবর পেয়ে পুলিস ও ব্লকের প্রশাসনিক আধিকারিকরা ওই পড়ুয়ার পরিবারের সাথে দেখা করেন। বছর তিনেক আগে ইউক্রেনের লভিভ শহরে যায়। সেখানে লভিভ ন্যাশনাল মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া অরবিন্দ। অরবিন্দের মা জোতি ছেত্রী জানায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় অরবিন্দ সহ আরো সাত জন পড়ুয়ার লভিভ থেকে ৭০ কিমি দূরে পোল্যান্ড ও ইউক্রেন সীমান্ত শেহাইনী নেডিকার উদ্দেশ্য রওনা দেয়। চার জন করে দুটি ট্যাক্সিতে প্রায় ৪০কিমি পথ যায়। এরপর রাতে বাকি ৩০ কিমি পথ হেঁটে রওনা দেয়। রাতে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে রাস্তার পাশগুলি থেকে গাছের ডালপালা সংগ্রহ করে আগুন ধরিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেয় অরবিন্দের মা। মায়ের ওই পরামর্শ অনুসরণ করে ঠান্ডা থেকে অনেকটা রেহাই পায় তারা। এরপর ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে সীমান্তে পৌচ্ছায় তারা। সেখানে ইউক্রেনের সেনা দেশ ভিত্তিক আলাদা লাইন করে মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া চালায়। তবে সেই সময় ভারতীয়দের জন্য ওই সীমান্তটি বন্ধ থাকে। সীমান্ত খোলার অপেক্ষায় খোলা আকাশের তলায় সেখানে থেকে যায় তারা। তবে ওই দিনে সীমান্ত পারাপারের জন্য ডলার নেওয়ার অভিযোগ উঠলে উত্তেজিত সাধারণ মানুষ ব্যারিকেড ভেঙ্গে দেয়। এতে ঝামেলা নিয়ন্ত্রণের জন্য ইউক্রেনের সেনা আকাশে গুলি চালায়। এরপর ২৭ ফেব্রুয়ারি অরবিন্দ ও তার বন্ধুরা সীমান্ত থেকে ফের বাসে করে লভিভ ইউনিভার্সিটির হোস্টেলে ফিরে আসে। এখনও সেখানে রয়েছে তারা। ওই এলাকায় জরুরী সাইরেনের একাধিকবার শব্দ বাজছে বলে জানিয়েছে অরবিন্দ। কি করবো জানি না। ছেলের দেহ নয় চাই ছেলের জীবন। সেক্ষেত্রে ইউক্রেন ছাড়া পার্শ্ববর্তী যেকোনও নিরাপদ দেশে রিফিউজি হয়ে এক মাস থেকে ছেলে বাড়ি ফিরলেও কোনও আপত্তি নেই।