Breaking
1 Nov 2024, Fri

চার দিন পর নিখোঁজ পুলিশ অফিসারের দেহ উদ্ধার, সঠিক তদন্তের দাবি পরিবারের!


টানা চার দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর জয়গা থানায় কর্মরত এক এএসআইয়ের দেহ উদ্ধার হয়েছে। আজ দলসিংপাড়া লাগোয়া একটি চা বাগান থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। মৃত ওই পুলিস অফিসারের নাম রতন কর(৫৫)। তাঁর বাড়ি কোচবিহার শহর সংলগ্ন ভাতৃ সঙ্ঘ ক্লাব লাগোয়া। বুধবার কোচবিহারের বাড়ি থেকে রওনা হয়ে জয়গায় পৌঁছে প্রথমে নিজের কোয়াটারে যান। সেখানে পৌঁছে বাড়িতে তাঁর স্ত্রীকে ফোনও করেন। এরপর থানা হয়ে হাসিমারা নাকা চেকিং পয়েন্টের দিকে রওনা হন। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর আগেই নিখোঁজ হয়ে যান রতন বাবু। এদিন দেহ উদ্ধারের পর পুলিশের প্রাথমিক ধারনা, রতন বাবুকে খুন করে ফেলে রাখা হয়েছে।
এরপর সিসি ক্যামেরার ফুটেজ, মোবাইল টাওয়ারের লোকেশন ধরে, কুনকি হাতিকে কাজে লাগিয়ে জঙ্গলের ভিতরে ওই পুলিশ অফিসারের খোঁজে চালানো হয়। টানা পাঁচ দিন ধরে তল্লাশি চালানোর পর এদিন দলসিংপাড়া লাগোয়া একটি চা বাগান থেকে ওই পুলিশ কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়। দেহ উদ্ধারের খবর বাড়িতে এসে পৌঁছাতেই কান্নায় ভেঙে পরেন ওই পুলিশ কর্মীর স্ত্রী, পুত্র, কন্যা সহ পরিবারের লোকজন কান্নায় ভেঙে পড়েন।
মৃত পুলিশ কর্মীর দাদা অজিত কর এদিন জানিয়েছেন, তাঁর ভাই জয়গা থানায় এএসআই পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি ট্রাফিক সেকশনের অফিসার ছিলেন। মঙ্গলবার কোচবিহারের বাড়িতে এসে পরিবারের লোকজন নিয়ে রাসমেলায় যান। বুধবার তিনি কাজে যোগ দিতে জয়গার উদ্দ্যেশে রওনা হয়ে যান। সেদিন তাঁর ডিউটি ছিল হাসিমারা নাকা চেকিং পয়েন্টে। জয়গায় পৌঁছে প্রথমে কোয়াটারে যান। সেখান থেকে বাড়িতে ফোন করে তাঁর পৌঁছে যাওয়ার খবরও জানান। এরপর থানায় গিয়ে জানতে পারেন তাঁর সাথের ডিউটিতে যোগ দেওয়ার জন্য যে সব সিভিক ভলেনন্টিয়ার ছিলেন, তাঁরা আগেই চলে গিয়েছেন। তাই তিনি একাই রওনা হন। আর পথে নিখোঁজ হয়ে যান। দুতিন ধরে খোঁজাখুঁজির পর কোন ভাবেই উদ্ধার করা যাচ্ছিল না। অবশেষে এদিন তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। অজিত বাবু বলেন, “ এটা খুনের ঘটনা, এনিয়ে আমরা নিশ্চিত। কিন্তু কেন তাঁকে খুন হতে হল এবং কারা তাঁকে খুন করল? এটা খুঁজে বের করুক পুলিশ প্রশাসন।” মৃত ওই পুলিশ কর্মীর স্ত্রী এদিন কান্নায় ভেঙে পড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ঘটনার কিনারা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানান। তিনি বলেন, “আমার স্বামী সৎ পুলিশ অফিসার ছিলেন। স্বামী হিসেবেও তিনি অনেক ভালো ছিলেন। তাঁর আর পাঁচ বছর চাকরি ছিল। কিন্তু এরমধ্যে এমন ঘটনা মেনে নিতে পারছি না। মুখ্যমন্ত্রী পুলিশমন্ত্রীও, তাই তিনি যেন এই ঘটনার যাতে সঠিক ভাবে তদন্ত হয়ে দোষীরা শাস্তি পায়, তার ব্যবস্থা করেন। এটাই আমাদের আবেদন।”

Developed by