Breaking
24 Dec 2024, Tue

দিনহাটায় প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল! সভা মঞ্চ ও দলীয় পতাকা পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে


ফের দিনহাটায় তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের কর্মী সভার মঞ্চ ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল ব্লক সভাপতি ঘনিষ্ঠ অনুগামীদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দিনহাটা ১ নং ব্লকের বড় আটিয়াবাড়ী ভাগ্নির মোর নতুন বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে অগ্নিসংযোগের ঘটনার খবর পেয়ে দিনহাটা দমকল কেন্দ্র থেকে একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অন্যদিকে দিনহাটা থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় এলাকায় শান্তিশৃঙখলা বজায় রাখতে।
সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার অনুগামীদের অভিযোগ, এদিন সকালে দিনহাটা ১ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের ‘ক’ কমিটির সভাপতি সঞ্জয় কুমার বর্মনের অনুগামীরা সেই সভা মঞ্চ ভাঙচুরের পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি পুড়িয়ে দেয় বলে তাদের অভিযোগ। শুধু তাই নয় সভামঞ্চে লাগানো মাইক ও চেয়ার ভেঙে ফেলা হয় বলে তাদের অভিযোগ।
যদিও সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন দিনহাটা ১ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের ‘ক’ কমিটির সভাপতি সঞ্জয় কুমার বর্মন বলেন, এগুলো সমস্ত ভিত্তিহীন অভিযোগ। ব্লক সভাপতির অনুমতি না নিয়েই এই সভা হচ্ছে এর ফলে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে জনরোষ সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি শ্রমিক সংগঠনের নিজেদের কোনো অন্তর্দ্বন্দ্ব হতে পারে। আপনারা সকলেই জানেন শ্রমিক সংগঠনের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল পরবর্তীতে কমিটির স্থগিতাদেশ ঘোষণা করেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। আর এই সমস্ত ঘটনার পেছনে বহিস্কৃত তৃনমুল নেতা নুর আলম হোসেন তার মদত রয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।”
তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকা পুড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছবি পুড়িয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসে কোচবিহার জেলা কমিটির চেয়ারম্যান উদয়ন গুহ বলেন, যারাই সভা মঞ্চ ভাঙচুর করেছে তারা অন্যায় করেছে। তবে কারা সভা ডেকেছে কিংবা কে করছে সভা আমার তা জানা নেই। কেউ যদি প্রকৃত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী হয়ে থাকে তাহলে সে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি কিংবা দলীয় পতাকা হাত দেবে না বলেও তিনি জানান।
বারংবার সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের দিনহাটা ১ নং ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কার্যত দলীয় নেতৃত্বের কাছে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একদিকে যেমন দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনছে বিধায়ক ঘনিষ্ঠ অনুগামীরা তেমনি পাল্টা একই চিত্র দেখা যাচ্ছে বিধায়ক অনুগামী প্রধান দের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনছে ব্লক সভাপতি ঘনিষ্ঠ অনুগামীরা। স্বাভাবিকভাবেই আগামী দিনে সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রে দলীয় কোন্দল কোন জায়গায় পৌঁছে যায় সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল।

Developed by