: মনীষী রায় সাহেব পঞ্চানন বর্মা প্রবর্তিত শক্তি সঞ্চারিণী দেবীর পূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি চলছে তার বসত খলিশা মাড়িতে। আগামীকাল তেসরা ডিসেম্বর এই পূজা অনুষ্ঠিত হবে। তিন বছর আগে এই পুজো শুরু হয় পুণ্যভূমি খলিসামারি পঞ্চানন বর্মা মেমোরিয়াল এন্ড ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্টের উদ্যোগে।এবছর ট্রাস্টের সম্পাদক ধীরেন্দ্র নাথ বর্মন শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। তার উদ্যোগে পুজো আয়োজনের জন্য শক্তি সঞ্চারণ পুজো কমিটি গঠিত হয়েছে।করোনার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক থাকায় এ বছর পুজো ঘিরে ব্যাপক উন্মাদনা দেখা যাচ্ছে গ্রাম থেকে শহরে। পুজোর পাশাপাশি পঞ্চানন বর্মা সংগ্রহশালার মাঠে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আজ সকাল বেলায় গিরিন বাবুর বাড়িতে নিজে সাংবাদিককে ডেকে অনুষ্ঠান সম্পর্কে বিস্তারিত জানান। সঙ্গে ছিলেন রতন দাস। আলোচনা সভার বিষয় উত্তর উত্তর পূর্ব ভারতের রাজবংশী ক্ষত্রিয় জাতির সামাজিক, সাংস্কৃতিক উত্তরণে মনীষী পঞ্চানন বর্মা ও উত্তর কাল। পুজোয় গিরীন্দ্রনাথ বর্মন সম্পাদিত রাজবংশী ক্ষত্রিয় জাতির উৎস সন্ধানে একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হবে। ইতিমধ্যে রায় সাহেব পঞ্চানন বর্মা র জন্ম ভিটা খলিশা মাড়িতে শক্তি সঞ্চারিত দেবীর পুজো উপলক্ষে জোরকদমে কাজকর্ম চলছে। প্যান্ডেল থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজ প্রায় শেষের পথে।আজকেও ভোরবেলা গ্রীন বাবু খলিসামারি তে গিয়ে যাবতীয় কাজ পরিদর্শন করে আসেন। গত দু’বছর করণা এবং অন্যান্য কারণে ছোট করে এই পুজো হয়েছিল। এবছর বিশাল আকার এ এই পুজোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। মনীষী পঞ্চানন বর্মার সংগ্রহশালার মাঠে বড় মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে, সেখানে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন নামিদামি বিশিষ্ট গুণীজনরা বক্তব্য রাখবেন, শ্রোতাদের জন্য দেড় হাজার চেয়ারে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি আলোচনা সভা শুনতে আসা এবং শক্তি সঞ্চা রিনি দেবীর পুজো য় যারা যারা আসবেন সকলকে প্রসাদ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে পুজো উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে। এখন খলিসামারি তে সাজে সাজ রব। আগামীকাল রাত পোহালেই শক্তি সঞ্চা রিনি দেবীর পুজো শুরু হবে।