ঘন কুয়াশা, অত্যাধিক গতি নাকি মদ্যপ অবস্থায় ড্রাইভার ? মর্মান্তিক পথো দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই মৃত্যুর সংখ্যা ১৭ থেকে ১৮। গতকাল গভীর রাতে নদীয়ার হাঁসখালি থানার ফুলবাড়ি এলাকার রাজ্য সড়কে একটি পাথরবোঝাই লরির সঙ্গে ৪০৭ ম্যাটাডোর এর সরাসরি সংঘর্ষ ঘটে। জানা যায় উত্তর 24 পরগনা বাগদা থানার পার মদনপুর এলাকার একটি বয়স্ক মৃতদেহ নিয়ে প্রায় ৩০ জনেরও বেশি শ্মশান যাত্রী নবদ্বীপ শ্মশান এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। ওই ৪০৭ গাড়িটিতে পুরুষের সঙ্গে মহিলা এবং শিশু ছিল বলে জানা যায়। গতকাল গভীর রাতে হাঁসখালি থানার ফুলবাড়ি এলাকায় একটি পাথর বোঝাই লরি সঙ্গে সরাসরি ধাক্কা মারে ওই ৪০৭ গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় একাধিক শ্মশান যাত্রীরা। প্রাথমিকভাবে যারা বেঁচে ছিলেন তারাই উদ্ধারকাজ শুরু করে। গভীররাত হওয়ার কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা অনেক পরে ঘটনাস্থলে আসে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে হাঁসখালি থানার পুলিশ। তাদের প্রত্যেকের উদ্ধার করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে ১৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও নতুন করে আরও ১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। অর্থাৎ মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি গাড়ির গতি বেগ অনেক বেশি থাকার কারণে এবং কুয়াশা পড়ার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। রানাঘাট থানার এসডিপিও দীপক অধিকারী বলেন এখনো দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। তবে তদন্ত চলছে আদেও গাড়িচালক মদ্যপ অবস্থায় ছিল কিনা তানিয় তদন্ত করছি আমরা।