মেদিনীপুরে এসে পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের। বিজেপির প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হতে পারে শনিবার। প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার জন্য দলীয় নেতৃত্ব প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছেন। ঠিক সময় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হবে, নির্বাচন হবে নির্বাচনে লড়াই হবে। আমরা চাইছিলাম পশ্চিম বাংলার সব কটা পৌরসভায় একসঙ্গে নির্বাচন হোক, কলকাতার লোকেদের যদি এই সুবিধাটা পাওয়ার অধিকার আছে, তাহলে বাকি বাংলা লোকেদের কেন নয়। বিধানসভা ও লোকসভা ভোট একসঙ্গে হলো, পঞ্চায়েত ও একসঙ্গেই হয়েছিল। তাহলে পুরসভা নির্বাচনের সময় আলাদা আলাদা ভাবে কেন করা হচ্ছে। সরকার কি ভয় পাচ্ছে ? যদি একসঙ্গে নির্বাচন হয় লুটপাট করতে পারবে না ? পৌরসভা নির্বাচনে শুধু মহিলাই নয়, সমাজের সর্বস্তরের প্রতিনিধিরা থাকবেন। তবে বাংলায় নির্বাচন হলেই আমরা সব সময় চাই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে হোক, কিন্তু তার জন্য কোর্টে যেতে হয়, এখানকার রাজ্য সরকার চায়না। ত্রিপুরাকে দেখে শেখা উচিত, যার এত সমালোচনা করা হচ্ছে। ত্রিপুরা আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে রেখেছিল, যাতে কেউ অভিযোগ না করতে পারে, যাতে গণ্ডগোল না হয় এবং সেটা তারা করে দেখিয়েছে। দু একটা জায়গায় তাকে চমকে দিয়েছে তার জন্য এখানে কান্নাকাটি রোল পড়ে গেছে। আর এখানে নমিনেশন থেকে পোলিং পর্যন্ত সব জায়গায় মারপিট করা হয়, লুটপাট করা হয় বিরোধীদের আটকানো হয়। মেদিনীপুর পৌরসভার পরিষেবা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন দীলিপবাবু। তিনি বলেন এখানে রাস্তাঘাট খুবই খারাপ বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। এখানকার মায়েদের অনেক কষ্ট করে গর্তের মধ্যে বালতি ঢুকিয়ে পানীয় জল জল নিতে হচ্ছে। শ্লোগান দিয়ে কিছু হবে না পাড়ায় পাড়ায় সরকার আমরা আগে দেখেছি, মানুষকে বাইরে এসে রাস্তায় দাঁড়াতে হলো, সরকারি কর্মচারীদের কারো বাড়িতে যেতে হলো না। এভাবে স্লোগান দিয়ে মানুষকে বোকা বানানো হচ্ছে। মেদিনীপুরের মানুষ অনেক বুদ্ধিমান তারা চিন্তাভাবনা করে ভোট দেন। বিকল্প হিসেবে বিজেপিকে তারা বেছে নিয়েছেন।