জেলা পরিষদ কর্মাধক্ষ্য নুর আলম হোসেনকে বহিষ্কার করায় দলের জেলার সভাপতি ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে তোপ দাগলেন সিতাইয়ের তৃনমূল বিধায়ক জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। এদিন তার নিজের বিধানসভা এলাকায় দলীয় এক কর্মসূচিতে বক্তব্য দিতে গিয়ে দলের জেলা সভাপতি গিরিন্দ্রনাথ বর্মণ ও চেয়ারম্যান তথা দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন।
তিনি বলেন, “ একটু আগে আমার দলের জেলা সভাপতি ও চেয়ারম্যান উদয়ন গুহ তারা নাকি সাংবাদিক সম্মেলন করে নুর আলম হোসেনকে বহিষ্কার করেছে। আমি এই খবর পাওয়া মাত্র রাজ্য পার্টির সভাপতিকে ফোন করি এবং তিনি আমাকে পরিস্কার করে বললেন কোন জেলা পার্টি কারও এক্তিয়ার নেই কাউকে বহিষ্কার করার। তারা শুধু বহিষ্কারের সুপারিশ করতে পারে রাজ্য পার্টিকে। তারপর রাজ্য পার্টি তাকে বহিষ্কার করবে কি না তা সিদ্ধান্ত নেবে। তাহলে আজ জেলা সভাপতি গিরিন্দ্রনাথ বর্মণ ও চেয়ারম্যান উদয়ন গুহ নুর আলম হোসেনকে বহিষ্কার করছেন। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী কাউকে বহিষ্কার করার আগে তাকে শোকজ করতে হয়। এবং শোকজের জবাব দেওয়ার জন্য তাকে একটা নির্দিষ্ট সময় দিতে হয়। আর সেই সময়ের মধ্যে যদি তার শোকজের জবাবে সন্তুষ্ট না হয় তাহলে রাজ্য পার্টিকে তার বহিস্কারের চিঠি দিয়ে সুপারিশ করতে হয়। এবং রাজ্য পার্টি তা বিবেচনা করে দেখবে তাকে বহিষ্কার করবে কিনা। পরিস্কার ভাবে রাজ্য সভাপতি আমাকে জানিয়েছেন এটা অনৈতিক, এইভাবে কাউকে বহিষ্কার করা যায় না।”
প্রসঙ্গত, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ তুলে দলের বিধায়ক ঘনিষ্ঠ জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নূর আলম হোসেনকে বহিষ্কার করেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। তিনি সিতাই বিধানাসভার তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়ার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। আজ কোচবিহারে তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ ও চেয়ারম্যান উদয়ন গুহ সাংবাদিক সম্মেলন করে ওই বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেন। এর পরেই দিনহাটা জুড়ে জোর জল্পনা শুরু হয়। তারপরেই জেলা সভাপতি ও চেয়ারম্যানের উপর ক্ষোভ উগড়ে দেয় সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ চন্দ বর্মা বসুনিয়া।