জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের পুরাতন বাজারের জেলা পরিষদের তৈরি করা মার্কেট কমপ্লেক্সর দোকান বন্টনের পদ্ধতি সরলিকরণের দাবি তুলে জেলা পরিষদ ঘেরাও করল ব্যবসায়ী ও শাসক দলের নেতা বলে অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার জেলা পরিষদের প্রচুর মানুষ জমায়েত হয়েছেন। এক প্রকার চাপে পরে জেলা পরিষদ সিদ্ধান্ত বদল করা হল।
তৃনমূল পরিচালিত জেলাপরিষদ নির্মিত মার্কেট কমপ্লেক্সের ঘর বন্টনের পদ্ধতি বদল করতে হবে। এই দাবি তুলে ময়নাগুড়ি ব্যবসায়ী সমিতি ও বিভিন্ন ক্লাবের সদস্যরা জেলাপরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মণ ও সহকারি সভাধিপতি দুলাল দেবনাথকে ঘেরাও করল। ব্যবসায়ী সমিতি ও ক্লাব কর্তাদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে পাশে দাড়িয়েছেন ময়নাগুড়ির তৃনমূল নেতারা। ময়নাগুড়ির পুরাতন বাজারের মাছ বাজারের জমি জেলা পরিষদের। সেই জমিতে ১৪টি দোকান ঘর তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু দোকান বন্টনের সিদ্ধান্ত জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় নিলামের আদলে। সঙ্গে জিএসটি, ইনকাম ট্যাক্সের ফাইল থাকতে হবে আবেদনকারীদের। সাধারণ মানুষের পক্ষে আবেদন করা সম্ভব নয়। এই সিদ্ধান্ত বাতিল করার দাবি জানিয়ে জেলা পরিষদ ঘেরাও করলেন সকলে। ময়নাগুড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সহ সম্পাদক সুমিত সাহা বলেন, “যাদের টাকা আছে তারাই দোকান পাবে। আমরা চাই লটারির মাধ্যমে দোকান বন্টন করা হোক।”
ময়নাগুড়ি তৃণমূলে নেতা মনোজ রায় বলেন,” ঘেরাও করার বিষয় নেই। জেলা পরিষদ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে দোকান ঘর বন্টন নিয়ে তা বদল করার দাবি তোলা হয়েছে। পরিষদ মেনে নিয়েছেন।” জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মণ বলেন,” ব্যবসায়ীদের দাবি মেনে নিয়ে সিদ্ধান্ত বদল করা হল। নতুন করে বৈঠক করে দোকান ঘর লটারির মাধ্যমে করা যায় কিনা আলোচনা করা হবে।”