নিজের ঘরে নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। এমতাবস্থায় ভাগ্নির চিকিৎসা করাতে গিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।মাস খানেক আগে ভাগ্নির পা সামান্য কেটে যায়। সেই কেটে যাওয়া স্থানটি বিশাল ক্ষতের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গেলে চিকিৎসকেরা স্থানান্তর করে দেন। এরপর অর্থের অভাবে বাড়িতেই ফেলে রাখে ভাগ্নিকে। ধীরে ধীরে পায়ের ক্ষত বৃদ্ধি পেতে থাকে। পা টি একপ্রকার চলে যেতে বসে।এমনি হৃদয় বিদারক ঘটনা দেখা গেলো আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট বীরপাড়া ব্লকের পাঁচ নম্বর লাইনে। সেখানকার বাসিন্দা শংকর ওঁরাও নামে এক দিনমজুরের ভাগ্নি রেশমা ওরাও। অসুস্থ ভাগ্নিকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তিনি। পরিবার সূত্র খবর, ফালাকাটা ব্লকের তাসাটি চা বাগানের বাসিন্দা রেশমা ওঁরাও অসুস্থ হবার পর থেকে সে মামা বাড়িতে রয়েছে। সপ্তম শ্রেণীতে পাঠরত রেশমা ওঁরাও জন্মের পর স্বাভাবিক শিশুর মতো চলাফেরা করছিল। তারপর হটাৎই সব পাল্টে যায়। পা অকেজো হয়ে পড়ে। চলা ফেরার শক্তি হারিয়ে যায়। এখন সবসময় বিছানায় শুয়ে কাতরাতে থাকে। বাঁচতে চায় সে, আবার আগের মতো হাঁটতে চায় সে। তার এই অবস্থার খবর পেয়ে মহম্মদ আক্রাম ও শাজাহান তালুকদার নামে দুই সমাজ কর্মী নিজস্ব উদ্যোগে রেশমার চিকিৎসা শুরু করেন। জানা গিয়েছে, বর্তমানে তারাই প্রতিদিন রেশমার পায়ের চিকিৎসা করে যাচ্ছেন। দুই জন গত একমাস ধরে বিভিন্ন এলাকা থেকে সাহায্য তুলে ওই ছোট মেয়েটির চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। রেশমা ওঁরাও এর মামা শংকর ওঁরাও বলেন, “আমার ভাগ্নি জটিল রোগে আক্রান্ত। বিছানায় শয্যাশায়ী। বহু ডাক্তার দেখিয়েছি। ডাক্তার বাইরে নিয়ে যেতে বলেছে।আমার আর্থিক অবস্থা শোচনীয়। সেই আর্থিক সামর্থ্য আমাদের নেই। রেশমা ওঁরাও-এর সু-চিকিৎসার জন্য সমাজের সহৃদয়বান মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তিনি।” সমাজসেবী মহম্মদ আক্রাম বলেন, দীর্ঘদিন পায়ের ক্ষত স্থানটি ড্রেসিং করার পর অনেকটা সুস্থ হয়েছে সে। তবে প্রতিদিন রেশমার পায়ের ক্ষত ড্রেসিং করতে ও পুষ্টিকর খাবার খেতে বহু অর্থের প্রয়োজন। রেশমাকে সুষ্ঠ করে তুলতে সকলের কাছে তিনিও সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।