উপ নির্বাচনের আগে পুজোয় নিরাপত্তা বাহিনীর অস্ত্র ব্যবহার করে আবারো বিতর্কের মুখে নদীয়া রানাঘাট কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। নিজের বাড়িতেই দুর্গাপূজায় তিনি সামরিক বাহিনীর অস্ত্র দিয়ে পুজো করেন। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর এই বিতর্ক শুরু হয় আদৌ কতটা আইন সাপেক্ষ সরকারি অস্ত্র ব্যবহার করাটা। এ বিষয়ে সাংসদ জগন্নাথ সরকার কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, রাজ্যের তৃণমূল নেতাকর্মীরা হিন্দু শাস্ত্র ভুলে গেছেন। হিন্দু শাস্ত্রে লেখা রয়েছে অস্ত্র পুজো করা হয়। তৃণমূলকে বলবো হিন্দু সম্প্রদায়ের সবথেকে বিক্রি বেশি হয় পঞ্জিকা বই, সেই বইয়ে স্পষ্ট লেখা রয়েছে অজস্র পূজার কথা। অস্ত্র পুজোর দিন আমি সামরিক বাহিনীর অস্ত্র ব্যবহার করেছি। সেটা পুরোটাই বৈধ কারণ ওই অস্ত্র যথেষ্ট নিরাপত্তার’ মধ্যেই ছিল। তাই তৃণমূল চাইলে আমার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিক। এ বিষয়ে নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি জয়ন্ত সাহা বলেন, অবিলম্বে যত দ্রুত সম্ভব সাংসদ জগন্নাথ সরকার কে গ্রেফতার করা হোক। তার কারণ উপ নির্বাচনের আগে সামরিক বাহিনীর অস্ত্র ব্যবহার করে মানুষকে আতঙ্কিত করে তোলার চেষ্টা করছে বিজেপি সাংসদ। আমরা তীব্র নিন্দা জানাই এবং নির্বাচনের আগে কিছুতেই যেন মানুষকে প্রভাবিত না করতে পারে সেই কারণেই নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি সাংসদের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের নবদ্বীপ পৌরসভা প্রশাসক বিমান কৃষ্ণ সাহা তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এই ঘটনার। তিনি বলেন অস্ত্র পুজো করে কখনোই মানুষ শান্তিতে থাকতে পারে না। মমতা ব্যানার্জি অস্ত্র ছাড়াই দেখিয়ে দিয়েছে কিভাবে মানুষের মন জয় করতে হয়।