প্রচারে তৃণমূলের বাধার মুখে পড়তে হল দিনহাটা বিধানসভার উপ নির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী অশোক মণ্ডলকে। শুধু তাই নয়, তাঁকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি ধাক্কাধাক্কিও করা হয় বলে বিজেপি প্রার্থী অভিযোগ করেছেন। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিনহাটায় তৃণমূল বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
আজ দিনহাটার বামনহাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সাহেবগঞ্জে প্রচারে গিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী অশোক মণ্ডল। তাঁর সাথে ছিলেন বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী। তাঁরা সাহেবগঞ্জ বাজারে পৌঁছাতেই বিজেপি কর্মীরা রীতিমত মিছিল করে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। বিজেপি প্রার্থীকে ঘেরাও করে গো ব্যাক স্লোগান দিতে শুরু করে। বিজেপি প্রার্থী অশোক মণ্ডল ও বিধায়ক মিহির গোস্বামীকে ওই তৃণমূল কর্মীদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করতেও দেখা যায়।
পরে সাংবাদিকদের বিজেপি প্রার্থী অশোক মণ্ডল বলেন, “ এদিন নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল বামনহাট এলাকায় প্রচার করার। কিন্তু সেখানে পৌঁছাতেই ঘেরাও করে গো ব্যাক স্লোগান, প্রচারে বাধার সৃষ্টি করা হয়। যেভাবে গালাগাল ও ধাক্কাধাক্কি করা হয়েছে, এটা আমার রাজনৈতিক জীবনে দেখেনি। কিন্তু এতে আমরা ভিত নই। আমরা লড়াই করে যাবো। গোটা দিনহাটার মানুষ তো বটেই, রাজ্যের মানুষও এই ঘটনার নিন্দা করবে বলে আমার বিশ্বাস। এমন ঘটনার প্রতিবাদ জানাতেই দিনহাটার মানুষ আমাকে পদ্মফুল চিহ্নে ভোট দিয়ে জয় যুক্ত করবে।”
মিহির গোস্বামী বলেন, “আজ যেভাবে আমাদের প্রার্থী ও আমাকে দৈহিক নির্যাতন করল, তা পুরোটাই আপনাদের সামনে হয়েছে। এটা গণতান্ত্রিক পরিবেশ হতে পারে না। আমরা বিষয়টা নির্বাচন কমিশনকে জানাবো। অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে এরিয়া ডোমিনেশন করে নির্বাচন সুষ্ঠু ভাবে করার আবেদন জানাবো। উদয়ন গুহ এক সময় ফরওয়ার্ড ব্লক করতেন। তাঁর সেই সময়কার হার্মাদ বাহিনী দিয়ে শুরু বিজেপি কর্মীদের নয়, আদি তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের উপরেও সন্ত্রাস করছেন। কিন্তু এটা দিনহাটার মানুষ মেনে নেবে না।”
৩০ অক্টোবর দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচন। ২ নভেম্বর গণনা করা হবে। ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক দল গুলো তাঁদের প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র জমা দিয়ে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতা পরিবহন মন্ত্রী ফিরাদ হাকিম দিনহাটায় এসে একাধিক নির্বাচনী সভা করেছেন। কিন্তু প্রচারে গিয়ে প্রার্থীকে বাধা দেওয়ার ঘটনা এদিন প্রথম ঘটল। কাজেই এই ঘটনা নিয়ে নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা যাতে না ছড়ায় তার জন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকেও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।