জেএনএফ ওয়েব ডেস্ক: দল প্রার্থী না করলে দলের ক্ষতি করবে, এটা মহিলা নেতৃত্বের মধ্যে নেই বলে দাবি করলেন তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভানেত্রী শুচিস্মিতা দত্ত শর্মা। আজ কোচবিহারের কাছারি মোড় এলাকায় তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে কোচবিহার শহর কনভেনার, হলদিবাড়ি শহর ও গ্রামাঞ্চলের দুই সভাপতি নিয়োগ করার সিধান্ত হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেক ব্লকে পুরানো সভাপতিদেরই রাখা হচ্ছে বলে শুচিস্মিতা দেবী জানিয়েছেন। এছাড়াও কোচবিহার শহরে ওয়ার্ড ও বুথ স্তরেও সংগঠন বিস্তার করা হবে। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে শুচিস্মিতা দেবী বলেন, “আমাদের সংগঠনের মহিলারা নেতৃত্বের সমস্ত কথাই মেনে চলেন। কাউকে প্রার্থী করা হল না বলে দলের ক্ষতি করবেন, এমন মানসিকতা মহিলাদের মধ্যে নেই।”
কোচবিহারে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল নতুন কিছু নয়। পঞ্চায়েতে প্রার্থী হতে না পারলে নির্দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘটনাও যেমন এই জেলায় দেখা গিয়েছে। তেমনি ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার কেন্দ্রে পরাজয়, বিধানসভায় আশানরুপ ফল না হওয়ার জন্য দলের গোষ্ঠী কোন্দলকেই প্রধান কারণ বলে তৃণমূলের অন্দরেই প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। এত কিছু পরেও কোচবিহারে যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ন্ত্রণে আসে নি। তা দিনহাটায় দলের শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মিছিল করা সহ একাধিক ঘটনায় প্রমাণিত। আর সেই জায়গা থেকেই গোষ্ঠী বিরোধহীন মহিলা সংগঠনকে মজবুত করতেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারনা।
শুচিস্মিতা দেবী দীর্ঘ সময় ধরে কোচবিহার জেলা সভানেত্রীর পদে রয়েছেন। এবার বিধানসভা নির্বাচনের পরে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রীর পদের দায়িত্ব দেওয়া কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে। তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর ফের কোচবিহার জেলা তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি নতুন করে দায়িত্ব পাওয়ার পর এদিন প্রথম জেলা সংগঠনের বর্ধিত সভা করেন। এই সভা থেকে একদিকে যেমন জেলায় সংগঠনকে মজবুত করার তৎপরতা দেখা গিয়েছে। তেমনি আসন্ন পুরসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতিও যে এই সভা থেকেই তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস শুরু করে দিল, তার ইঙ্গিতও দিয়েছেন শুচিস্মিতা দেবী। তিনি পুর ও পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী নির্বাচন রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বই ঠিক করবেন বলে জানিয়েও মহিলা সংগঠন থেকে যাতে বেশী বেশী করে প্রার্থী করা হয়, সে ব্যাপারেও স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন।