জেএনএফ ওয়েব ডেস্ক :-ভ্যাকসিন পাননি, অথচ মোবাইলে ভ্যাকসিন হয়ে যাওয়ার মেসেজের পাশাপাশি রীতিমতো শংসাপত্র হাতে পেয়ে গেলেন এক ব্যক্তি। আশ্চর্যজনক এই ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার নবদ্বীপ বিধানসভা কেন্দ্রের মায়াপুর বামুনপুকুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। অভিযোগ, বামন পুকুরের বাসিন্দা রাজকুমার দে, কয়েকদিন আগে কোভিদ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেওয়ার জন্য সরকারি নিয়ম অনুযায়ী স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রশাসনের মাধ্যমে বৈধ স্টাম্প যুক্ত টোকেন সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু প্রাপ্ত টোকেনের উল্লেখিত তারিখে স্থানীয় বামুনপুকুর হাই স্কুল প্রাঙ্গণে ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পে উপস্থিত হয়ে দীর্ঘক্ষন লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর তাঁকে ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে না বলে জানায় ক্যাম্পে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীরা। এরপর বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব সুনীল বিশ্বাসের সাথে দেখা করতে বলা হয়ে থাকে। পাশাপাশি ভ্যাকসিন নিতে গেলে ফের নতুন করে তাঁকে বৈধ টোকেন সংগ্রহ করার কথাও বলা হয় সংশ্লিষ্ট ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্প থেকে। এরপর রাজকুমার বাবু শাসকদলের স্থানীয় নেতৃত্ব সুনীল বিশ্বাসের সাথে দেখা করে বিষয়টি জানালে, তাঁর সাথে দুর্ব্যবহার করে তাড়িয়ে দেওয়া হয় তাঁকে বলে অভিযোগ রাজকুমার বাবুর।পাশাপাশি ভ্যাকসিন না পেলেও ওইদিন বিকেলে তাঁর প্রথম ভ্যাক্সিনেশন সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে বলে মোবাইলে একটি মেসেজ আসে রাজকুমার বাবুর। পাশাপাশি তাঁর নামে উল্লেখিত ভ্যাকসিনেশন সম্পন্ন হওয়ার শংসাপত্র হাতে পান তিনি। এরপর সম্পূর্ণ ঘটনাটি সংশ্লিষ্ট ব্লক আধিকারিক অফিসে ফোনের মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেন রাজকুমার বাবু। সেখানেও তাঁর কথা না শুনে ফোন কেটে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। অভিযোগ, শংসাপত্রে উল্লেখিত যেই কর্তব্যরত স্বাস্থ্যকর্মী তাঁকে ভ্যাকসিন দিয়েছেন। বাস্তবে তিনি বেশ কয়েকদিন ধরে মাতৃত্বকালীন ছুটি উপভোগ করছেন বলে জানা গিয়েছে স্থানীয় সূত্রে। তাহলে প্রশ্ন থেকে যায়, ভ্যাকসিনেশনের দিন যেই স্বাস্থ্যকর্মী ছুটিতে রয়েছেন তিনি কিভাবে ভ্যাকসিন প্রদান করলেন রাজকুমার বাবুকে? যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যবাসীর সার্বিক সুরক্ষার দিকে নজর রাখতে গিয়ে সুষ্ঠু পরিষেবার মধ্য দিয়ে প্রত্যেক মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। সেই জায়গা থেকে ভ্যাকসিন প্রদানের ক্ষেত্রে চাঞ্চল্যকর এই দুর্নীতি স্বাভাবিকভাবেই আর একবার প্রশ্ন চিহ্ন তুলে দিল প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে। পাশাপাশি কোভিড ভ্যাক্সিনেশনের ক্ষেত্রে সাধারণত মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার বিষয়ে সরাসরি উঠতে শুরু করেছে রাজ্যের শাসকদলের একশ্রেণীর কর্মী সমর্থক ও নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। কোভিড ভ্যাকসিন না পেয়েও তাঁর নামে শংসাপত্র হাতে পাওয়ার ঘটনায় ভবিষ্যতে তিনি আদেও ভ্যাকসিন নেওয়ায় সুবিধা পাবেন কিনা সেই বিষয়ে বর্তমানে রীতিমতো দুশ্চিন্তায় দিন অতিবাহিত করছেন বামনপুকুরের বাসিন্দা রাজকুমার দে। যদিও বিষয়টা সরেজমিনে তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন মায়াপুর বামুনপুকুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মীর সাইনুর হক। পাশাপাশি ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের কোন ঘটনা না ঘটে তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বলেও এই দিন আশ্বাস দেন উপপ্রধান।