জেএনএফ ওয়েব ডেস্ক :- কৃষ্ণনগর জেল হেফাজতে থাকা অবস্থায় অসুস্থ নাকাশিপাড়া ব্লকের প্রাক্তন প্রধান রাম চন্দ্র সরকার। তিনি দীর্ঘ ২৫ বছর ধরেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন বিজেপির তরফ থেকে। রাম চন্দ্র সরকার বিগত পাঁচ বছর ওই পঞ্চায়েতের প্রধান হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। রাজ্যে শাসক দল আবার ক্ষমতায় আসার পর থেকে নোংরা রাজনীতি করে প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান রামচন্দ্র সরকার কে আইনি জটিলতায় ফাঁসিয়ে দেয় এমনটাই অভিযোগ রামচন্দ্র বাবুর পরিবারের তরফ থেকে। রামচন্দ্র বাবুর মেয়ের বক্তব্য আমার বাবা এখনো পর্যন্ত টিনের বাড়িতেই বাস করেন। দাদার বিবাহ দিয়েছিলেন জমি বিক্রি করে। আমার দাদারা ব্যবসা করেন ব্যাংকের ঋণ নিয়ে। সে জায়গায় এই কোটি কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ পুরোটাই মিথ্যা। শাসক দল তৃণমূল ষড়যন্ত্র করেই আমার বাবা কে ফাঁসিয়েছে। গত ৪১ দিন ধরে তিনি কৃষ্ণনগর জেল হেফাজতে আছেন। এর আগেও তিনি দুবার অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তবুও জেল কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে কিছু জানায়নি। পুনরায় আর যখন নতুন করে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং চিকিৎসার জন্য শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তখনই জানানো হয়। এখন রামচন্দ্র বাবুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ বিষয়ে বিজেপি নেতা মহাদেব সরকার জানান রাম চন্দ্র সরকার একজন লড়াকু নেতা আমরা ও আমাদের দল তার পাশেই আছে। তিনি দীর্ঘ 25 বছর ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করে তৃণমূল কংগ্রেস কে পরাজিত করেছেন। তিনি বিগত কুড়ি বছর ধরে পঞ্চায়েতে সদস্য ছিলেন এবং পাঁচ বছর পঞ্চায়েত প্রধান হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। রাজনীতি পেক্ষাপটে যখন তৃণমূল কোনমতেই রামচন্দ্র সরকারকে হারাতে পারেনি তাই ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে। রামচন্দ্র বাবুর অসুস্থতার পিছনে রয়েছে কারা দপ্তরের গাফিলতি । রামচন্দ্র সরকার অসুস্থ জানা সত্ত্বেও কোনরকম ওষুধ ও চিকিৎসা তাকে দেওয়া হতো না। এখন যখন অবস্থার অবনতি হয়েছে তখন হসপিটাল এর তরফ থেকে রেফার করা হচ্ছে কল্যাণী হসপিটালে। এছাড়াও মহাদেব সরকার জানান যদি রামচন্দ্র সরকারের কিছু হয় তাহলে আমরা কাউকে ছাড়বো না। কারা দপ্তরের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই লড়বো। আগামী দিন রামচন্দ্র সরকারের এই আইনি লড়াইয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির সকল কর্মী নেতৃবর্গ রামচন্দ্র বাবুর পাশেই আছে। মহামান্য আদালতে ন্যায় বিচার পাবেন বলেও তিনি জানালেন।।