জেএনএফ ওয়েব ডেস্ক :- করোনা মহামারির এই সময় প্রাথমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের খোঁজ খবর নিতে শিক্ষকদের এলাকায় এলাকায় যাওয়ার আবেদন করলেন কোচবিহার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান হিতেন বর্মণ। আজ কোচবিহারে এসে দায়িত্বভার গ্রহণের পরেই ওই আবেদন জানান হিতেন বাবু। শুধু তাই নয়, শিক্ষক সংগঠন গুলোর সাথেও এব্যাপারে তিনি আলোচনা করবেন বলেও জানিয়েছেন।
হিতেন বাবু বলেন, “করোনা মহামারির এই সময় স্কুল কলেজ বন্ধ। এতে ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ায় ক্ষতি হচ্ছে, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করোনা পরিস্থতি স্বাভাবিক হলে পূজার পরেই স্কুল খুলবেন বলে জানিয়েছেন। তার আগে যাতে শিক্ষকরা এলাকায় এলাকায় গিয়ে ছাত্রাছাত্রীদের খোঁজ নেন, তার জন্য আবেদন জানানই। প্রয়োজনে এব্যাপারে শিক্ষক সংগঠন গুলোর সাথেও কথা বলা হবে।”
আজ রীতিমত উপস করে সকাল সকাল মাথাভাঙার বাড়ি থেকে বের হয়ে কোচবিহারে আসেন হিতেন বাবু। প্রথমে তিনি রাসমেলা মাঠ লাগোয়া মনিষী পঞ্চান্ন বর্মার আবক্ষে মাল্যদান করেন। সেখান থেকে সোজা চলে যান মদনমোহন মন্দিরে। সেখানে পূজা দিয়ে কোচবিহার শহরের পাটাকুড়া এলাকায় থাকা জেলা শিক্ষা সংসদের দফতরে গিয়ে জেলা শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তপন কুমকার দাসের হাত থেকে দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেন। এদিন দায়িত্ব ভার গ্রহণের সময় তাঁর সাথে ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, স্কুল শিক্ষা দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ চন্দ্র অধিকারী, সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বসুনিয়া, সহ অন্যান্যরা। পরে কোচবিহার পুরসভার সামনে তাঁদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, এক সময় ফরোয়ার্ড ব্লক থেকে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ হয়েছিলেন পেশায় শিক্ষক হিতেন বাবু। এরপর দল পরিবর্তন করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। শীতলখুচি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জোড়াফুল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিধায়ক হন। খুব অল্প সময়ের জন্য হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রী সভাতেও স্থান পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে হিতেন বর্মণকে আর প্রার্থী করা হয় নি। তাঁর জায়গায় প্রার্থী হয়েছিলেন পার্থ প্রতিম রায়। ওই সময় তিনি রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াবেন বলেও ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু নির্বাচনে জয় পাওয়ার পর ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী পদে বসে হিতেন বাবুকে কোচবিহার শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান পদের দায়িত্ব দেন।