Breaking
1 Nov 2024, Fri

তুফানগঞ্জের খোরারপারে বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার, বর্ষা শুরু হতে না হতেই চিন্তিত ২৫০টি পরিবারের

জেএনএফ ওয়েব ডেস্ক : নদী পাড়াপাড়ে ভরসা বাঁশের সাঁকো। হয় নি সেতু। তাই জীবনের ঝুকি নিয়ে সাঁকোতেই ভরসা গ্রামবাসীদের। আর এভাবেই বহু বছর ধরে সাঁকো আকড়ে চলে গ্রামবাসীরা৷ যখনি বর্ষা শুরু হয় তখনি তাদের দুর্ভোগ বাড়ে। কিন্তু সেই দুর্ভোগের জন্য চিন্তিত গোটা গ্রাম।
জানা গেছে, তুফানগঞ্জ ১ নম্বর ব্লকের অন্দরান ফুলবাড়ি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম অন্দরান ফুলবাড়ি ৯/ ১৮৫ নং বুথের খোরারপার ও যমেরডাঙ্গা এলাকার মধ্য দিয়ে প্রভাহিত হয়েছে মরা গদাধর নদী। দীর্ঘ প্রায় চারদশক ধরে নদীর গতি পথ পরিবর্তন হয়ে নদীটি ছরায় পরিনত হয়েছে। গ্রামবাসীরা সেই ছরার পারের নাম দেন “সাত বইনের পার”। বৈশাখ মাস থেকে কার্তিক মাস বর্ষার ৭ মাস ছরাটি ভয়ংকর রুপ ধারন করে। তুফানগঞ্জ শহর লাগোয়া খোরারপার এলাকায় প্রায় ২৫০টি পরিবারের বসবাস ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে যাতায়াত করেন। এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারা পার করতে অনেক সময় দূর্ঘটনার ফলে আহত হয়েছেন অনেকে। কৃষকদের উৎপাদিত শস্য মাথায় করে বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে বিক্রি করতে তুফানগঞ্জ বাজারে নিয়ে যেতে হয়। এমনকি অসুস্থ রোগীদের নিয়ে যেতে সমস্যায় পরতে হয়। রোগীর পরিজনেরা প্রায় ৫ কিলোমিটার ঘুরপথে তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়।
গ্রামবাসীদের দীর্ঘ দিনের দাবি, কালভার্ট অথবা ব্রীজ তৈরী করা হোক। এলাকার প্রশাসনিক আধিকারিক বহুবার জানিয়েও সুরাহা হয়নি।
এবিষয়ে গ্রামের বাসিন্দা ললিত বর্মন বলেন “আমাদের এখানে সমস্যা হল সাত বৈনের পার যে নদী, বর্ষার সময় বৈশাখ মাস থেকে কার্তিক মাস পর্যন্ত এই নদীতে অনেক জল হয়। সেই সময় জিবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। সামনে তুফানগঞ্জ শহর সেখানে সোমবার ও বৃহস্পতিবার হাট হয়। আমাদের এখানের গ্রামের কৃষক ধান পাট ইত্যাদি ঠ্যালা-ভ্যান দিয়ে নিতে হয়, কিন্তু এখানে বাঁশের সাঁকো থাকায় সমস্যায় পড়তে হয়। মাথায়-কাঁধে করে পার করতে হয়। আর তা না হলে প্রায় ৪-৫ কিলোমিটার ঘুরে নিয়ে যেতে হয়। প্রশাসনিক আধিকারিক থেকে জনপ্রতিনিধিদের জানানো হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত কেউ উদ্যোগ নেয়নি। শুধু বলে হবে হবে এইভাবেই চলে যাচ্ছে কিন্তু হচ্ছে না।’’
এবিষয়ে অন্দরান ফুলবাড়ি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ধারানী কান্ত বর্মন এবিষয়ে বলেন “এটা দীর্ঘদিন সমস্যা, বর্ষার সময় ৬ মাস নদীতে জল থাকে। নদীর ওই পারে অনেক ছাত্র-ছাত্রী আছে যারা তুফানগঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্কুলে পড়াশোনা করে তাদের যাতায়াতের সমস্যা। বর্ষার সময় তারা অনেকটাই ঘুরপথে ৩-৪ কিলোমিটার পথ ঘুরে তুফানগঞ্জ শহরে পৌঁছায় তাদের যাতায়াতের অসুবিধায় পরতে হয়। আর এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে বাঁশের সাকো থেকে পড়ে গিয়ে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমাদের এই এলাকার দীর্ঘদিনের দাবি এখানে কালভাট বা একটা ব্রিজ করতে হবে। প্রশাসন কে অনেকবার বলা হয়েছে কিন্তু আজ পর্যন্ত তার সুরাহা হয়নি। গ্রামের বাসিন্দারা জানান এখানে একটি ব্রিজ হলে আমরা খুব উপকৃত হবো।

Developed by