জেএনএফ ওয়েব ডেস্ক:- তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে চাষের জমিতে ঝান্ডা লাগিয়ে দেওয়ায় অভিযোগ তুলে বিষ খেয়ে আত্মঘাতীর চেষ্টা করলেন এক ব্যাক্তি। আজ মাথাভাঙ্গা ১নং ব্লকের জোরপাটকি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভুরকুলডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা ওই ব্যাক্তির নাম ধীরেন বর্মণ। প্রথমে তাঁকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
অভিযোগ, এদিন সকালে জোরপাটকি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কমল অধিকারী তাঁর দলবল নিয়ে ধীরেন বর্মন নামে ওই ব্যক্তির জমিতে দলীয় ঝান্ডা লাগিয়ে দেন। শেষ সম্বল ওই চাষের জমি টুকু চলে যাওয়ায় বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ধীরেন বর্মণ। তারপর স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে মাথাভাঙ্গা মহাকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাকে কোচবিহার সরকারি মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করা হয়।
হাসপাতালের শয্যায় থেকে ধীরেন বর্মন জানান, বাম আমলে এই ভেস্ট জমি তাকে দেওয়া হয়েছিল এবং সেই জমিতেই তিনি চাষাবাদ করে এক ছেলেকে নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। কিন্তু এলাকার স্থানীয় প্রধান জোরপূর্বক সেই জমিতে তৃণমূল কংগ্রেসের ঝান্ডা পুতে জমি দখল করার নেই। এরপরে আর কোন পথ না পেয়ে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন তিনি।
ওই ঘটনা নিয়ে জোড়পাটকি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কমল অধিকারী বলেন, অন্যের জমি দখল করে আছেন ওই ব্যক্তি। তাই দলের পক্ষ থেকে সেই জমিতে ঝান্ডা লাগানো হয়েছে। এলাকার দরিদ্র মানুষকে সেই জমি দান করার উদ্দেশ্যে দখল করা হয়েছিল। তবে ওই ঘটনা এদিন বিকেল পর্যন্ত মাথাভাঙ্গা থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে ধীরেন বাবুর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।