জেএনএফ ওয়েব ডেস্ক :- বুধবার জলপাইগুড়িতে ফের শিশু মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। তবে এবার সরকারি চিকিৎসার অভাবেই মৃত্যু হয়েছে শিশুর বলে অভিযোগ পরিবারের। মঙ্গলবার ময়নাগুড়ির আমগুরি এলাকা থেকে সাড়ে তিন মাসের শিশু পুত্র কৃপায়ন রায়কে শ্বাসকষ্ট ও সর্দি নিয়ে তার পরিবার ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে এলে সেখানে কোনো রকম চিকিৎসাই শুরু করা হয়নি বলে অভিযোগ। পরে ময়নাগুড়ির বকুলতলায় বেসরকারিভাবে চিকিৎসা করাতে গেলে, শিশুর পরিস্থিতি খারাপ বুঝে চিকিৎসক জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে রেফার করেন। বুধবার সকালে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে আনা হলে, শিশুর করোনা পরীক্ষার সময়ে মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। এ বিষয়ে উত্তরবঙ্গের জনস্বাস্থ্যবিষয়ক ওএসডি ডক্টর সুশান্ত কুমার জানান, যেকোনো মৃত্যু দুঃখের। কিন্তু এই শিশুটির ময়নাগুড়ি বাজারে বেসরকারিভাবে চিকিৎসা চলছিল। ময়নাগুড়ি থেকে শিশুটিকে এদিন জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয় বলে জানান ওএসডি। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা হলে এভাবে জীবনহানি হতো না। এ পর্যন্ত জলপাইগুড়িতে তিনটি শিশুর মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসে। স্বাভাবিকভাবে ঘটনাগুলি নিয়ে চিন্তিত জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগে প্রায় একশর আশপাশে প্রতিদিনই শিশু ভর্তি থাকছে। তবে সুস্থ অবস্থায় প্রতিদিনই বেশকিছু শিশুকে ছেড়েও দেওয়া হচ্ছে। জ্বর, সর্দি, কাশি প্রভৃতি উপসর্গ রয়েছে শিশুদের। তবে তাদের করোনা পরীক্ষাও নিয়মিত করা হচ্ছে। সেই রিপোর্টগুলো নেগেটিভ আসছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর। যেকোনো শিশুর যেকোনো সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিসকরা।