জেএনএফ ওয়েব ডেস্ক : ঝাড়গ্রাম ঘুরতে এসে ‘তিক্ত অভিজ্ঞতা’র কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন এক মহিলা। আর সেই পোস্ট ট্যাগও করা হয়েছে একটি পর্যটন গ্রুপের পেজেও। বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় আসতেই ঝাড়গ্রাম সম্পর্কে নানা কথা নানা জন মন্তব্য শুরু করেছেন। কিন্তু যিনি এই পোস্ট করেছেন ঝাড়গ্রামে ঘুরসে আসা ওই মহিলা মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ঝাড়গ্রামে কোন অভিযোগ দায়ের করেননি। যেহেতু বিষয়টির সঙ্গে ঝাড়গ্রামের পর্যটন ব্যবসা সম্পর্কে মানুষের কাছে অন্য বার্তা যেতে পারে সেহেতু ঘটনার তদন্ত চেয়ে এবং বিষয়টির আসল ঘটনা প্রকাশ্যে আসার দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ঝাড়গ্রাম ট্যুরিজিমের কর্তা সুমিত দত্ত। কারন এর আগেও ঝাড়গ্রাম পর্যটন নিয়ে ‘ভুঁয়ো’ কথা প্রচার করা হয়েছিল। খড়গপুরের কিছু ব্যক্তি বেলপাহাড়ির ঢাঙিকুসুম ঘুরতে গিয়ে ‘মাওবাদীদের হাতে ছিনতাই’ হয়েছিল বলে মিথ্যে ঘটনা প্রথমে পুলিশকে জানিয়েছিল। তারপর ওই ঘটনার তদন্ত করতে সম্পূর্ণ ভুঁয়ো বিষয়টি সামনে আসে। এমনকি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিবৃতি দিয়েছিলেন। তৎকালীন রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র নিজে এসে ঢাঙিকুসুমে সরজমিনে তদন্ত করে গিয়েছিলেন। এ ঘটনা সে রকমই কোন বিষয় নয় তো? প্রশ্ন উঠছে, কেন ওই মহিলা পর্যটকরা বিষয়টি ঝাড়গ্রাম থানায় ফোনে বা লিখিত জানালেন না। কেন অভিযোগ ই-মেল করেনি। তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন যা নিয়ে ঝাড়গ্রাম সম্পর্কে ‘অন্য বার্তা’ ছড়িয়ে পড়ল পর্যটকদের কাছে। সত্যি যদি পর্যটকদের সঙ্গে এহেন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে অভিযুক্তদের অবশ্যই শাস্তি পাওয়া উচিত। কারন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালের পর থেকে ঝাড়গ্রাম এখন পর্যটকদের কাছে অন্যতম ঘুরে বেড়ানোর স্থান হিসেবে পরিণত হয়েছে। ঝাড়গ্রাম জেলার পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন,‘ঝাড়গ্রাম সম্পর্কে ওই পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখার পর ওই মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ওই দিন রাতে উনি আবগারি দপ্তরের কাউকে ডেকেছিলেন কিন্তু পুলিশের কাউকে ফোন করেননি। কিন্তু পোস্টে পুলিশের কথাও লিখেছেন। অভিযোগের কি সত্যতা রয়েছে তা যাচাই করার জন্য সিসিটিভি ফুটেজ এবং রিসর্টের থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। তাহলেই আসল বিষয়টি পরিস্কার হবে।’