জেএনএফ ওয়েব ডেস্ক: দীর্ঘ ১০ মাস ধরে বিল না মেটানোয় অনির্দিষ্ট কালের জন্য নিশ্চয় যান পরিষেবা বন্ধ করে দিল গাড়ির মালিক পক্ষ। আজ থেকে ওই অনির্দিষ্ট কালের জন্য নিশ্চয় যান পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়া প্রসূতি ও তাঁদের শিশুরা। কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজের ‘মাতৃমা’র সামনে নিশ্চয় যানের জন্য কার্যত হত্যে দিয়ে পড়ে রয়েছেন তাঁরা। কেউ কেউ নিরুপায় হয়ে বাড়ির লোকজনকে ফোন করে ভাড়ার গাড়ির ব্যবস্থা করার জন্য আবেদন করেছেন। এই দৃশ্য শুধু কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নয়, জেলার মহকুমা হাসপাতাল গুলোতেও একই সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
দীর্ঘ দিন থেকে প্রসূতিদের বিনামূল্যে হাসপাতালে যাতায়াতের জন্য নিশ্চয়যান প্রকল্প চালু রয়েছে। কোচবিহার জেলায় ওই প্রকল্পে ৯৬ টি ছোট গাড়ি রয়েছে। ভাড়ার মাধ্যমে ওই গাড়ি গুলো মালিকের কাছ থেকে নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য দফতর নিশ্চয় যান প্রকল্পে ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু বিগত ১০ মাস ধরে সেই গাড়ি গুলোর ভাড়া মেটানো হচ্ছে না বলে অভিযোগ। গাড়ির মালিক সংগঠনের পক্ষে বারবার জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সাথে দেখা করেও সঠিক ভাবে কোন আশ্বাস পাচ্ছেন বা বলে শেষ পর্যন্ত অনির্দিষ্ট কালের জন্য পরিষেবা বন্ধ রাখার সিধান্ত নিয়েছে মালিক সংগঠন। সংগঠনের কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা রমজান আলী বলেন, “জেলায় সব মিলিয়ে দেড় কোটি টাকার উপড়ে বকেয়া রয়েছে। শুধু মাত্র পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেলে সাধারণ মানুষ বিড়ম্বনায় পরবে বলে আমরা এতদিন নিজের পকেটের টাকা খরচ করে এই প্রকল্প সচল রেখেছি। কিন্তু আর আমাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না বলে পরিষেবা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছি।”
অন্যদিকে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ‘মাতৃমা’র সামনে বসে থাকা এক প্রসূতির আত্মীয় নটকোবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মর্জিনা বিবি বলেন, “ আমার রোগীর ছুটি হয়েছে অনেক আগেই। কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার পর গাড়ির খোঁজ নিতে এসে শুনে বন্ধ হয়ে গেছে। পরে বাড়ির লোকজনকে ফোন করেছি। তাঁরা ভাড়ার গাড়ি নিয়ে আসছে।” তবে এই সমস্যা মেটাতে কোচবিহার জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তাঁদের পক্ষ থেকে এ