জেএনএফ ওয়েব ডেস্ক :-১৩ই সেপ্টেম্বর ইটাহার: রাতে নাবালক কন্যা সন্তান দেহ ও সকালে মায়ের মৃত দেহ নদীর জলে ভাসতে দেখে চাঞ্চল্যকর ছড়িয়েছে। জানা গেছে ইটাহার পঞ্চায়েত অন্তর্গত বিধিবাড়ি গ্রামের মেয়ে প্রিয়া পারভিন এর সঙ্গে বিয়ে হয় ইটাহার থানার সুরুন এক অঞ্চলের গোরাহার বিষহার গ্রামের বাসিন্দা সামিউল্লাহ (রাজ) পেশায় ভিন রাজ্যের শ্রমিকের কাজ করে, গত ৪ বছর আগে বিয়ে হলেও, গত দুই দিন আগে ভিন রাজ্যে থেকে বাড়িতে ফিরে আসে সামিউল্লাহ। তবে গতকাল দুপুর নাগাদ ইটাহার বিধিবাড়ি শশুর বাড়ী গ্রামে এসে জানান তাঁর স্ত্রী পিয়া পারভিন ও তার সন্তান শ্রেনা সেমি পারভিন কে পাওয়া যাচ্ছে না বলে শশুর বাড়িতে খোঁজ নিতে আসে সামিউল্লাহ যে বিধিবাড়ি বাবার বাড়িতে এসেছে কি না। তবে সন্ধ্যা রাতেই ইটাহার থানার পাশ্ববর্তী থানা চাচল থানার অন্তর্গত ইটাহার থানার সংলগ্ন মহানন্দা নদীর জলে নাবালক কন্যা সন্তান শ্রেনা সেমি পারভিন এর দেহ উদ্ধার করে চাচল থানার পুলিশ, তবে সকাল হতেই নাবালিকার মায়ের দেহ চাচল থানার অন্তর্গত, ইটাহার সংলগ্ন মহানন্দা নদীর জলে আশাপুর ঘাটে চাচল থানার পুলিশ উদ্ধার করে, মালদহ জেলা হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। যদিও এদিন মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করে প্রিয়া পারভিন ও তার সন্তান কে খুন করে নদীর জলে ভাসিয়েছে স্বামী সামিউল্লাহ। তবে অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত সামিউল্লাহ গ্রেপ্তার করেছে ইটাহার থানার পুলিশ।