জেএনএফ ওয়েব ডেস্ক :প্রতিকূল আবহাওয়াতেও যে মৌসুমী ফল ও অর্কিড ফুল চাষ সম্ভব তাই বাস্তবায়িত করে দেখালেন তুফানগঞ্জের সমীর দত্ত। পাশাপাশি নানান ধরণের ফুল, ফল ও রঙিন মাছ চাষ শুরু করেছেন। তবে প্রথমদিকে চাষবাসে প্রতি তার নেশা থাকলেও পরবর্তীতে তা পরিণত হয় পেশাতে।বর্তমানে প্রায় ৫০-৬০টি পরিবার তার এই ফার্মের ওপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।তুফানগঞ্জ শহরের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সমীর দত্ত। পেশায় ব্যাবসায়ী। তবে প্রথম দিক থেকেই তার চাষবাসের প্রতি নেশা ছিল।কিন্তু ধীরে ধীরে তা পরিণত হয় পেশাতে।তুফানগঞ্জ থেকে চার কিলোমিটার দূরেচিলাখানা- ২গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোগারকুঠি এলাকায় পাঁচ বছর আগে তৈরি করেন ফার্ম।যদিও দীর্ঘ ৪০বছর যাবৎ তিনি এই সমস্ত কাজের সাথে যুক্ত রয়েছেন।সাধারণত পাহাড়ি এলাকার ঠান্ডা আবহাওয়াই অর্কিড চাষের আদর্শ পরিবেশ৷ এই আবহাওয়াতেও অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছেন তিনি।বর্তমানে তার ফার্মে ৫০০০টি অর্কিড গাছ রয়েছে।স্টিক হিসাবে বিক্রি হয়৷ এক একটা স্টিক পিছু পনেরো থেকে কুড়ি টাকা দর মেলে৷ যার চাহিদা কোচবিহার ও শিলিগুড়ির বাজারে রয়েছে।এক বিঘা জমির ওপর মৌসুমী ফল চাষ করেছেন সমীরবাবু।প্রায় একশোটি গাছ রয়েছে।গত বছর চার কুইন্টাল মৌসুমী বিক্রি করে বেশ ভালো মুনাফা হয়েছে। এবছরও ফলন ভালো। আশায় বুক বাঁধছেন তিনি।পাশাপাশি রঙিন মাছ চাষ করে মাছচাষিদের এ বার বিকল্প আয়ের দিশা দেখাচ্ছেন তিনি।ইতিমধ্যে এই বহু মাছচাষি রঙিন মাছ চাষ করে লাভের মুখ দেখেছেন। এই বিষয়ে সমীর বাবু জানান, মোটামুটি প্রশিক্ষণ নিয়েই তারা গোল্ডফিশ,সহ বিভিন্ন ধরনের রঙিন মাছের চাষ করছেন। বর্তমানে বাজারে এই মাছের চাহিদাও বেশ ভালো রয়েছে।