Breaking
24 Dec 2024, Tue

ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে দেড় বছরের সমস্যার সমাধান হল মাত্র দু’দিনে, বিকাশের বাড়িতে জ্বলল আলো!


জেএনএফ ওয়েব ডেস্ক : দেড় বছর ধরে বিদ্যুৎ দপ্তরের দরজায় কড়া নেড়েছে। আবেদন করেও বাড়িতে মেলেনি নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ। ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে সেই সমস্যার সমাধান হল মাত্র দু’দিনে! বাড়িতে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ পেলেন লালগড় ব্লকের নেপুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে তেঁতুলআড়া গ্রামের বাসিন্দা বিকাশ প্রামানিক। গত তিন মাস আগে ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের কাছে সমস্যার কথা লিখিত ভাবে জানায় বিকাশ। গত সাতদিন আগে ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ ওই সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে ‘প্রি-লিটিগেশন’ মামলা রুজু করে। গত ২৬ আগস্ট স্টেশন ম্যানেজার ও বিকাশ প্রামানিককে নোটিশ দিয়ে ডেকে পাঠায় জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ। সেদিন ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব তথা বিচারক সুনীল কুমার শর্মা উভয় পক্ষের মতামত শোনেন। তার পরের দিনই বিকাশের বাবার নামে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেয় বিদ্যুৎ দপ্তর। এদিন ওই সমস্যার সমাধানের প্রেক্ষিতে উভয়কে আবার হাজির হতে হয়েছিল ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের অফিসে। বাড়িতে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়ে বিকাশ প্রামানিক বলেন,‘বিনপুর স্টেশন ম্যানেজারের কাছে দেড় বছর আগে বাবা বৈদ্যুনাথ প্রামানিকের নামে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার আবেদন করি। তখন থেকেই ওই ঠিকানায় পুরোনো মিটারের বকেয়া বিল রয়েছে বলে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে অজুহাত দেখায়। কিন্তু আমাদের কোন মিটার ছিল না। আইনি সহায়তা কর্তৃপক্ষের সহায়তায় বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়ে খুবই ভালো লাগছে।’ বিনপুরের বিদ্যুৎ দপ্তরের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মানসকুমার দে বলেন,‘ডিএলএসএ-র মাধ্যমে আমার অভিযোগটি জানতে পেরেছিলাম। জানার পরই আমরা দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করে দিয়েছি।’ ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের অফিস মাষ্টার সুব্রত বারিক বলেন,‘বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া এটিও আইনি অধিকারের মধ্যে পড়ে। তা থেকে বঞ্চিত ছিলেন বিকাশ প্রামানিক। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের সচিব তথা বিচারক সুনীলকুমার শর্মার কাছে ফাইলটি যাওয়ার পরই মাত্র দু’দিনে সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।’

Developed by