Breaking
1 Nov 2024, Fri

দফায় দফায় “আসাম-বাংলা” সীমান্তে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ বাস মালিক সংগঠনের

জেএনএফ ওয়েব ডেস্ক :- অসমের ধুবরী জেলা থেকে কোচবিহার রুটে” যাত্রীবোঝাই বাস চলাচলের অনুমতির দাবিতে, দফায় দফায় “আসাম-বাংলা সীমান্তে “জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ, দুই রাজ্যের বাস মালিক সংগঠনের। ভিক্ষা করতেও দেখা যায় বাস সংগঠনের মালিক-কর্মচারীদের। দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধের ফলে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয় ১৭ নং জাতীয় সড়কে। পথ অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে “আসম” ও “বাংলা “দুই রাজ্যের প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
বাসমালিক সংগঠনের দাবী, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের দীর্ঘদিন বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও, গতকাল “অসম” সরকারের নির্দেশে আন্ত জেলায় যাত্রী নিয়ে বাস চলাচলের অনুমতি মিললেও, “অসমের ধুবরি জেলা থেকে কুচবিহার রুটে” বাস চলাচলের অনুমতি নিয়ে তাল বাহানা করছে দুই রাজ্যের প্রশাসন। অন্যদিকে প্লেন, ট্রেন সহ্ অন্যান্য যানবাহন এর ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ অর্পিত না থাকলেও, বাস চলাচলের ক্ষেত্রে প্রশাসনের আপত্তি কোথায। বাস মালিকরাও তো নিয়ম করে সরকারকে রোড ট্যাক্স, ইন্সুরেন্স, দিয়ে যাচ্ছেন। দীর্ঘদিন বাস চলাচল বন্ধ থাকায় আর্থিক সংকটে ভুগছেন বাসমালিক সহ বাসকর্মচারীরাও। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টা নাগাদ আসাম বাংলা সীমান্তে দফায় দফায় বিক্ষোভে সামিল হয় বামালিক সংগঠন। পরবর্তীতে পথ অবরোধের পর আসাম প্রশাসনের সঙ্গে দুই-রাজ্যের বাসমালিকের জটিলতা কাটলেও, বাংলায় প্রবেশের অনুমতির দাবিতে পথ অবরোধে কাজ না হওয়ায়, অভিনবভাবে ভিক্ষা করতে দেখা যায় বাস চালকদের।
বাস মালিকদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলাপ-আলোচনা করে তুফানগঞ্জ মহকুমার অতিরিক্ত পুলিশ আধিকারিক সহ আসাম পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। “অসম থেকে কুচবিহার” রুটি বাস চলাচলের বেঙ্গল প্রশাসনের অনুমতি না দিলে ” আসাম-বাংলা সীমান্তে” বিক্ষোভ চলবে বলেও জানান দু-রাজ্যের বাস মালিক সংগঠন। খবর লেখা পর্যন্ত আসাম-বাংলা সীমান্তের পথ অবরোধ চলছে বলেও জানা যায়।

Developed by